আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar) পর থেকে বার বার উঠে এসেছে অভীক দের নাম। কখনও আরজি করে (RG Kar) ক্রাইম সিনে তাঁর উপস্থিতি দেখতে পাওয়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তো কখনও থ্রেট কালচারে উঠে এসে তাঁর নাম। অভিক দের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে (RG Kar) স্বাস্থ্য দফতরের কাছে গুচ্ছ গুচ্ছ প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
আরজি কর কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরেই সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হিসেবে যে দুই জন চিকিৎসকের নাম উঠে আসে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম অভীক দে। অভীক দে এসএসকেএম সার্জিক্যাল বিভাগের পিজিটি। তিনি ৮ আগস্ট থেকে হাসপাতালে যাচ্ছেন না বলে এসএসকেএমের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। এই বিষয়ে তাঁর বিভাগীয় প্রধানকেও কিছু জানাননি বলে এসএসকেএম জানিয়েছে। সন্দীপ ঘনিষ্ট এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও ভয়ে কেউ কথা বলতে পারেননি। কিন্তু আরজি কর কাণ্ডের পরেই সাহস জোগাড় করে জুনিয়র চিকিৎসকরা অভীক দের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ করতে শুরু করেন।
অভীক দে এসএসকেএমকে যে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট করছেন, সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে নিয়ম না মানার অভিযোগ রয়েছে। গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজ করার জন্য বিশেষ কোটায় অভীক দে এসএসকেএমে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট করার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু যে গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তিনি কাজ করেছেন বলে দাবি করেছিলেন, সেখান থেকে স্বাস্থ্য দফতরকে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছে, অভীক দে নামের কোনও চিকিৎসক তাঁদের ছিল না। এছায়া পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনির জন্য যে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়, সেটিও তিনি করেননি বলে অভিযোগ গিয়েছে স্বাস্থ্য দফতরে।
থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে। হস্টেলে গিয়ে পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকদের ভয় দেখাতেন অভীক দে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরে প্রমাণ জমা পড়েছে বলেও জানা গিয়েছে। উত্তরবঙ্গ লবিতেও নিজের প্রভাব খাটাতেন অভীক দে বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকার বিনিময়ে পরীক্ষায় টুকলি করতে দেওয়া, নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে অভীক দের বিরুদ্ধে। আর জি কর কাণ্ডের পর ১১ অগাস্ট বর্ধমান মেডিক্যালে গভীর রাতে জুনিয়রদের সঙ্গে বৈঠক করেন অভীক। অভীক দে-র বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য ভবনের ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এই অভিযোগগুলির উল্লেখ করা হয়েছে।