সন্ধ্যা ৬টার আপডেট অনুযায়ী আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, পারাদ্বীপ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে, ধামরা থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে ও সাগরদ্বীপ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana)। উত্তর পশ্চিম বঙ্গোসাগরে এই মুহূর্তে তীব্র ঘূর্ণিঝড় দানার (Cylone Dana) ঘূর্ণায়মান গতিবেগ ১১০ থেকে ১১৫ কিলোমিটার, সর্বোচ্চ ১২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। ওড়িশার উত্তর উপকূলে ঘূর্ণিঝড় দানার (Cyclone Dana) ল্যান্ডফল হবে। তবে বাংলার সাগরদ্বীপ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
সাগরদ্বীপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন খোদ মন্ত্রী। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা সাগরদ্বীপের বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ক্রমেই সাগরদ্বীপের আয়তন কমছে। যেভাবে সাগরদ্বীপে ভাঙন দেখা গিয়েছে, তাতে উদ্বেগ বাড়ছে। ঝড় ভালোভাবে শুরু হওয়ার আগেই সাগরদ্বীপের পার ভাঙতে শুরু করেছে। নবনির্মিত বাঁধগুলো ভেঙে পড়েছে। কপিলমুনির আশ্রমের সামনেই বাঁধ ভাঙছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে বুধবার থেকেই সাগরদ্বীপের ফেরী যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে সাগরদ্বীপ কার্যত একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি সারারাত নবান্নে থাকবেন। সারারাত পরিস্থিতি মনিটারিং করবেন বলে জানা গিয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছে, নীচু এলাকা থেকে ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৯৪১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সম্মতি দিয়ে সরেছেন ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৩৩৭ জন। ৮৫১ টা ক্যাম্প চালানো হচ্ছে। ৮৩ হাজার ৫৪৭ জন রিলিফ ক্যাম্পে আছেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ল্যান্ডফল হবে না বলে কোনও ক্ষতি হবে না, এমনটা ভাবা ভুল । তিনি বলেন, , “সব থেকে দামী হচ্ছে মানুষের জীবন। এটা জীবন বাঁচানোর লড়াই। আমি রাতে আজ নবান্নে থাকব। উদ্ধারকারী দল কাজ করবে। আমি সবটা মনিটারিং করব।” তিনি রাজ্যের বিশেষ করে উপকূলের বাসিন্দাদের আতঙ্কিত হতে বারণ করেছেন। সতর্ক থাকতে বলেছেন।