বার বার ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন হয়েছে ওড়িশা বাংলা। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় হলে সচারচর রেহাই মেলে না বাংলা বা ওড়িশা উপকূলের (Cyclone Dana)। যার জেরে ঘূর্ণিঝড় দানার খবরে ওড়িশা ও বাংলা উপকূলে নতুন করে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল (Cyclone Dana)। বৃহস্পতিবার রাতে ভিতরকনিকা ও ধামরার মধ্যবর্তী অঞ্চলে ল্যান্ডফল হয় (Cyclone Dana)। বৃহস্পতিবার রাতেই ল্যান্ডফল হয়। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ওড়িশার কোথাও কোনও প্রাণহানীর খবর পাওয়া যায়নি (Cyclone Dana)। ওড়িশার যেখানে ল্যান্ডফল হয়েছে, সেখানেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে জনজীবন। আসলে ম্যানগ্রোভের জন্যেই কি রক্ষা পেল সাধারণ মানুষ?
ওড়িশার ভিতরকনিতাতে রয়েছে সুবিশাল ম্যানগ্রোভ অরন্য। ঝড়ের আগেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, সেই অরণ্যে কোনও প্রভাব পড়বে না তো? ওড়িশা প্রশাসন ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে এই ম্যানগ্রোভ অরন্যে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছিল। শুক্রবার ওড়িশার মন্ত্রী সূর্যবংশী সূরজ জানিয়েছেন, ম্যানগ্রোভের জন্যই জনবসতিতে তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। ওড়িশার মন্ত্রী জানান, এই ঝড়ে তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি রাজ্যের। এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। ঝড়ের সময় বিদ্যুৎ পরিসেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে সেই পরিসেবা চালু করে দেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে ওড়িশার মন্ত্রী, “ভিতরকণিকা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে যেখানে ল্যান্ডফল হয়েছে সেখানে মানুষের বসবাস নেই। সেখানে আছে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। সেই জঙ্গলই হাওয়ার গতি কম করে দিয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ওড়িশা প্রশাসনের উদ্যোগে ১ লক্ষের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ওড়িশার তরফে এই ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলা করতে চরম সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল। ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছিল। ধামরায় মূলত মৎস্যজীবীদের বাস। সেখানের অপেক্ষাকৃত নীচু অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দাদের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে, পুরীতে পর্যটকদের হোটেল ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। পাশাপাশি মাইকিংয়ে সাবধান করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু পুরী থেকে অনেক পর্যটক ঝড়ের সময় হোটেল ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেন। তাঁরা ঘূর্ণিঝড়ের উত্তাল সমুদ্র দেখতে পুরীতে থেকে যেতে চান।