আদালতে পড়ল তালা (Jalpaiguri)। এমন এক আজব ঘটনার সাক্ষী হল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri)। সঠিক সময়ে আদালতে হাজির বিচারক (Jalpaiguri)। আসতে আসতে মামলাকারী ও অন্যান্য মানুষও আসতে শুরু করেন। কিন্তু আদালতের প্রধান গেটে তালা (Jalpaiguri)। দেখে অবাক হয়ে যান সবাই। আবার প্রধান গেটের ভিতরে রাখা হয়েছে একটি বাইক। কার বাইক, কে দিল তালা। সেই নিয়ে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। নিরাপত্তা রক্ষীরাও তালার মালিক খুঁজতে শুরু করেন। কার্যত বিরক্ত হয়ে পড়েন বিচারক। জলপাইগুড়ির ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল সকলে।
ঘটনার জেরে জলপাইগুড়ির ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। পরে এক এনভিএফ কর্মী জানান, এই বাইকটি তাঁর। বাইকটি আদালত চত্বরে রাখার পরেই নিরাপত্তার কথা ভেবে তালা দিয়ে দেন। জানা গিয়েছে, এন ভি এফ কর্মীর নাম সদানন্দ দাস। জানা যায়, আগের রাতে তিনি বাইক আদালতে রেখে চলে যান। বাইকটি যাতে চুরি না হয়, সেই কারণে আদালতের গেটে তালা দিয়ে যান। আদালতের বাইরে তালা ঝোলানোর জেরে দুপুর পর্যন্ত বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় বিচারক অপূর্ব কুমার ঘোষ সহ আইনজীবী এবং ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের। দাবিদার হীন বাইকটি নিয়ে আদালতে আতঙ্ক ছড়ায়।
পরে পুলিশের দ্বারস্থ হন বিচারক। অভিযোগ পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ সুপার। বাজেয়াপ্ত করা হয় মোটর বাইকটিকে। পরে হাজির হন এনভিএফ কর্মী। তিনি বার বার ক্ষমা চাইতে থাকেন। তিনি বলেন, বাইকের সুরক্ষার জন্য আদালতে তালা লাগিয়ে চলে গিয়েছিলেন।