বাঁকুড়াতে (Bankura) গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১.৮ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। বাঁকুড়ায় (Bankura) প্রবল বৃষ্টির জেরে জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। সেতুর ওপর দিয়ে জল বয়ে চলেছে (Bankura)। সেতুর ওপর হাঁটু সমান জল (Bankura)। একপ্রকার প্রাণ হাতে নিয়ে সেই সেতুর ওপর দিয়ে মানুষ যাতায়াত করছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে জলের তলায় চলে গেছে শান্তাশ্রম লাগোয়া দেবখালের সেতু।
শুক্রবার বিকেলে দেখা যায়, সেতুর ওপর প্রায় হাঁটু সমান জল। যার জেরে ইন্দাস ব্লকের করিশুণ্ডা, বেলবান্দি, পাহাড়পুর-সহ পাঁচ থেকে সাতটি গ্রাম কার্যত বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে। এই গ্রামের বাসিন্দাদের বাজার, স্কুল বা যে কোনও কাজের জায়গায় যেতে গেলে সেতুটি পার হতে হয়। কিন্তু বর্তমানে সেতুটি ডুবে গেছে। সেতুটির ওপর দিয়ে হাঁটু সমান জল বইছে। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই গ্রামের মানুষদের প্রাণ হাতে নিয়ে সেতুটি পার হতে হচ্ছে।
একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই ৩০ ফুট গভীরে পড়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় কাজের জন্য গ্রামবাসীদের যেতে হচ্ছে সেতু পার করে। এদিন স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনেকবার প্রশাসনকে সেতুটির উচ্চতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেই দিকে কোনও কর্ণপাত করেনি প্রশাসন। সেই কারণেই আজকে এই অবস্থা। মাঝে মাঝে এই পাঁচ থেকে সাতটি গ্রাম একেবারে বাইরের জগৎ থেকে বিছিন্ন হয়ে যায়। তখন অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাতে হয়।
বাঁকুড়ার কোতুলপুরে কংসাবতী সেচ ক্যানাল ভেঙে হরিহট্টপুর মৌজা সংলগ্ন এলাকায় প্লাবিত হয়েছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। কোতুলপুরের কৃষক কালু রায় বলেন, ‘ক্যানেলটি কোনোরকম সংস্কার করা হয়নি এবং রক্ষণাবেক্ষণেরও অভাব রয়েছে। গাফিলতি রয়েছে সেচ দপ্তরের। যার জেরে ক্যানেলের পাড় ভেঙ্গে বিপত্তি।’
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুরের বিঘার পর বিঘা চাষের জমি জলের তলায়। জমা জলে পড়ে থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের।
পশ্চিম মেদিনীপুরের কৃষক দুর্গা জানা বলেন, ‘পাকা ধান নষ্ট হয়ে গেছে। আলু শেষ। সব সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।’ অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরে গোলাপ চাষেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।