চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কালীপুজো (Kali Puja)। লক্ষী পুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই কালীপুজোর (Kali Puja) প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এই তিনটি কাল নিয়ে মহাকাল। আর সেই মহাকালের শক্তি কালী (Kali Puja) । দশমহাবিদ্যার ইনিই প্রথমা মহাবিদ্যা। কালীপুজোর আগের দিন ভূত চতুর্দশী। এই দিন ও কালীপুজোর দিন বিশেষ কিছু নিয়ম পালন করতে হয়। সেক্ষেত্রে নানাভাবে উপকার পাওয়া যায়।
কালীপুজোর দিন সকাল থেকে রাত অবধি একটি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালতে হবে ঠাকুরঘরে। খেয়াল রাখতে হবে, এই প্রদীপ যেন কোনওভাবেই নিভে না যায়। অন্যদিকে, কালীপুজোর দিন রাতে বাড়ির ছাদে একটি পাঁচমুখী প্রদীপ জ্বালতে হবে। কালীপুজোয় মনস্কামনা পূরণ করতে একটি টোটকা রয়েছে। কালীপুজোর দিন সন্ধ্যার সময় বট গাছের গোড়ায় তিনটে কালো তিল রেখে নিজের মনস্কামনা বলতে হবে। তবেই কালীপুজোয় করা মনস্কামনা পূরণ হবে। এছাড়াও দেখা যায়, অনেকে কালীপুজোর দিন উপোস করেন। ভালো ফল পেতে হলে ব্রাহ্মণ ভোজন করাতে পারেন। সেক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও কালীপুজোর দিন কোনও মন্দিরে খাড়া দান করতে পারেন।
এছাড়া আরও কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। যেগুলো কালীপুজোর দিন ভুলেও করা উচিৎ নয়। কালীপুজোর দিন ও তার আগের দিন কখনই বাড়ি মেয়ে-বউদের চুল খুলে ঘুমানো উচিৎ নয়। রাতে চুল খুলে ঘুমালে নেগেটিভ শক্তি প্রচণ্ড আকর্ষণ করে। এছাড়াও কালীপুজোর দিন ও আগের দিন শ্মশানে যাওয়া উচিৎ নয়। কারণ সেই সময় নেগেটিভ শক্তি খুব সক্রিয় থাকে। তার প্রভাব শরীর ও মনের ওপর পড়তে পারে। এই দুই দিন রান্নাঘর যেন কোনওভাবেই নোংরা না থাকে। এই দুই দিন রান্নাঘর নোংরা থাকলে, তার কুপ্রভাব সংসারের ওপর পড়ে। এছাড়াও এই দুই দিন বাড়ি ঝাঁট দিতে নিষেধ করা হয়। কালীপুজোর সময় লক্ষী পুজোও হয়। তাই মনে করা হয়, এই দুই দিন ঘর ঝাঁট দিলে লক্ষী বিতাড়িত হতে পারে।