বর্তমানে ভারতের অর্থনীতি স্থিতিশীল অবস্থায় নেই। এফআইআইরা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে শেয়ার বাজারে অস্থিরতা চলছে। মুদ্রাস্ফীতিও (Inflation in India) বাড়ছে। তবে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস মনে করেন, মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তিনি বলেন, বিশ্বে চলমান অনেক সমস্যার কারণে মুদ্রাস্ফীতি (Inflation in India) চাপের মধ্যে রয়েছে। তবে দেশে মুদ্রাস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধি এক সঙ্গে রয়েছে। ভারতের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। চলতি অর্থ বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
শক্তিকান্ত দাসের মতে, আবহাওয়ার অনিশ্চয়তা এবং ভূ-রাজনৈতিক সমস্যার কারণে মুদ্রাস্ফীতি আমাদের লক্ষ্যমাত্রার ৪ শতাংশের উপরে চলে গেছে। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে এর উন্নতি হবে। মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ম্যাক্রো উইক ২০২৪-এ ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ভারতীয় অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ও শক্তি এই মুহূর্তে সুদের হারের পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতির (Inflation in India) দিকেও মনোনিবেশ করার সুযোগ দিয়েছে। কোভিড ১৯-এর প্রভাব সত্ত্বেও, আমরা গত তিন আর্থিক বছরে প্রায় ৮ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বজায় রেখেছি। ২০২৫ অর্থবছরে এটি প্রায় ৭.২ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরবিআই-এর গভর্নর বলেন, “অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ছে। একই সঙ্গে উৎপাদনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে বেসরকারি বিনিয়োগও বাড়ছে। সরকার মূলধন ব্যয় বৃদ্ধি এবং ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক স্থিতিশীলতা জোরদার করার দিকে মনোনিবেশ (Inflation in India) করেছে। এনবিএফসিগুলিও ভালো করছে। কর্পোরেট ক্ষেত্রও বিনিয়োগ বাড়িয়ে দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখছে। কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নের ফলে গ্রামাঞ্চলে চাহিদা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংক বিশ্বের উদীয়মান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করছে।”