হঠাৎ করেই অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। জেলে যাওয়ার আগে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ক্ষমতা ছিল যথেষ্ঠ। মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহধন্য হিসেবে তিনি (Anubrata Mondal) পরিচিত ছিলেন। কিন্তু দুই বছর তিনি (Anubrata Mondal) জেলের ভিতরে ছিলেন। বীরভূমের রাজনীতি থেকে অনেকটা দূরে ছিলেন তিনি (Anubrata Mondal)। এরপরেই জেল থেকে মুক্তি পেতে দলের অভ্যন্তরে একটা গুঞ্জন শোনা যায়, আগের মতো ক্ষমতা থাকবে তো অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। পুজোর মুখে জেল থেকে বের হলেও তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এখনও কোনও সাক্ষাৎ হয়নি। এরমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুঝিয়ে দিলেন কীভাবে আগামীদিনে চলতে হবে।
জেল থেকে ফেরার পর বিজয়া সম্মিলনী করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই বিজয়া সম্মিলনীতে কার্যত বীরভূমের কোনও কোর কমিটির সদস্য ছিল না। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর ফোন যায় অনুব্রত মণ্ডলের কাছে। প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের জেলে যাওয়ার পরে বীরভূমে তৃণমূলের একটি কোর কমিটি গঠন করা হয়। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী অনুব্রত মণ্ডলকে জানান, দলে কোর কমিটিকে নিয়েই চলতে হবে। আগের মতো আর একা চলা যাবে না।
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের জেল হওয়ার পর কোর কমিটি গঠন করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় বীরভূমের কেউ জেলা সভাপতি ছিলেন না। গত দুই বছরে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, বীরভূমে সব সামলেছে কোর কমিটি। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরেই কোর কমিটির অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দলীয় কার্যালয় থেকে কোর কমিটির ছবি সরিয়ে ফেলা হয়। কমিটির সদস্য কাজল শেখের সঙ্গে একই মঞ্চে একই প্রেমে অনুব্রত মণ্ডলকে দেখতে পাওয়া যায় না। এছাড়া কোর কমিটির সদস্যদের ছাড়াই বিজয়া সম্মিলনী করেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে থাকে। তারপরেই অনুব্রত মণ্ডলের কাছে যায় মুখ্যমন্ত্রীর ফোন।
যদিও প্রত্যক্ষভাবে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন কাজল শেখ। তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যা নির্দেশ দেবেন, সেই নির্দেশ আমরা মেনে চলবো।