দীপাবলি (Diwali) সামনে এলেই যেন একটা আশঙ্কা চেপে বসে। আবার শব্দ দূষণ ও বায়ু দূষণের কোপে পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে (Diwali)। যেসব নিষিদ্ধ বাজি ধরা পড়ছে না সেগুলি তো কালীপুজো, দীপাবলিতে (Diwali) ফাটবে। ইতিমধ্যে শহরের বিভিন্ন জায়গায় নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটতে শুরু করেছে। সুরতাং দীপাবলি (Diwali) ও কালীপুজোতে নিষিদ্ধ শব্দবাজির দৌরাত্ম্য বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই পরিস্থিতিতে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বন্ধ করতে মুখ্যসচিবকে চিঠি দিলেন পরিবেশ কর্মীরা।
পরিবেশকর্মীদের সংগঠন ‘পরিবেশ আকাডেমি’র পক্ষ থেকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব, পরিবেশ দফতরের সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আসলে এই নিষিদ্ধ শব্দবাজির বিষ বাতাসে তৈরি হয়। যা নানা রোগের কারণ হয়। এছাড়াও শব্দ দূষণ তো হয়। এই পরিস্থিতিতে বাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন ইকো ফ্রেন্ডলি আতশবাজি জ্বালানোর নিয়ম রয়েছে। রাজ্যের তরফে নিষিদ্ধ বাজি বন্ধ করার বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেই বিষয়ে পরিবেশ কর্মীরা চিঠি দিয়েছিলেন।পরিবেশ কর্মীরা মুখ্যসচিবকে দেওয়া চিঠিতে একাধিক নিয়মের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন।
পরিবেশ কর্মীরা জানিয়েছেন, ‘যে সব নিষিদ্ধ শব্দবাজি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করছে সেগুলি যেন পর্ষদের নিয়ম মেনে বিপজ্জনক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সাইটে নষ্ট করে দেওয়া হয়। এই বিষয়টির মনিটরিং প্রয়োজন। রাজ্যে যাতে কোনও বেআইনি বাজি কারখানা না চলে সেটা সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে।’
তবে কালীপুজো বা দীপাবলি পেরিয়ে গেলেই যে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বিষয়টা এতটাও সহজ নয়। কারণ এরপরই আছে জগদ্ধাত্রী পুজো ও ছট পুজো। তখনও আদালতের নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে চললে সমস্যা অনেক কম হবে। এমনটাই মনে করছেন পরিবেশকর্মীরা।
তবে এখন থেকে দীপাবলির রেশ শুরু হয়ে গিয়েছে। শব্দ বাজির সঙ্গে আতশবাজির আধিক্য দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তাতেই আশঙ্কার প্রহর গুনছেন পরিবেশ কর্মীরা।