আরজি করে দুর্নীতি মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে সিবিআইয়ের হাতে। এবার সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) সময় এমবিবিএস সিলেকশনে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। সিবিআই সূত্রের খবর, বিভিন্ন মোবাইল ফোনের কলের রেকর্ড, এসএমএস থেকে এর বিরুদ্ধে (Sandeep Ghosh) প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। পুজোর আগেই কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট সিবিআইয়ের তরফে জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২০২১ সালের পর থেকেই এই দুর্নীতি (Sandeep Ghosh) হয়েছে বলে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি হাউস স্টাফদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বলে জানা গিয়েছে। বহু জায়গায় ইলেকট্রিক বিল সহ একাধিক বিলিংয়ের ক্ষেত্রে গণ্ডোগোল দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। যেখানে কাজের বিল ১০ হাজার টাকা, সেখানে এক লক্ষ টাকা বিলিং করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সিবিআই সূত্রের খবর, সমস্ত নথি হাইকোর্টে ইতিমধ্যে জমা করা হয়েছে। সিবিআই মনে করছে, এই রিপোর্ট থেকেই তদন্তের গতিবেগ আরও অনেক দূর এগোবে। এখন তদন্ত প্রক্রিয়া কোথায় যায়, সেই দিকেই সাধারণ মানুষের নজর।
ইতিমধ্যে আরজি করে দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারমধ্যে অন্যতম আশিস পাণ্ডা। যিনি আরজি করের হাউসস্টাফ ছিলেন। অভিযোগ করা হয়েছে, সমস্ত দুর্নীতিতে আশিস পাণ্ডে ছিলেন কিংপিং। তার মাধ্যমে সন্দীপ ঘোষ যাবতীয় দুর্নীতি করতেন। একাধিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ জুনিয়র চিকিৎসক অভীক দের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের যুক্ত থাকার একাধিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর তদন্ত করে এই প্রমাণ পেয়েছে। অন্যদিকে, থ্রেট কালচারে যুক্ত থাকার ঘটনায় আরজি কর কর্তৃপক্ষ ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করে। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে তারা নতুন করে কাজে যোগ দেন। উল্টে তাঁরাই থ্রেট কালচারে শিকার হওয়ার অভিযোগ করেন। পাল্টা তাঁরা একটি সংগঠন করেছেন। ৮ দফা দাবি নিয়ে মুখ্যসচিবকে ইমেল করেছেন।