কালী পুজো আলোর উৎসব। অমব্যাসার ঘন কালো রাতকে সরিয়ে মানুষ আলোর উৎসবে মেতে ওঠেন। এই পরিস্থিতিতে ফানুস নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। ফানুসের জেরে একাধিক অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী থেকে কলকাতা (Kolkata Police)। তাই বিপদ এড়াতে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) ফানুসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
২০২৩ সালের কালীপুজোতে বড় বড় তিনটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী থেকে কলকাতা। দমকল বিভাগের রিপোর্টে জানা যায়, এই অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে ফানুস। অন্য জায়গা থেকে জ্বলন্ত ফানুস এসে পড়ে। তার জেরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দমকলের তরফে এই বিষয়ে লালবাজারকে সতর্ক করা হয়েছিল। সমস্ত কিছু বিচার করে লালবাজার এবা ফানুস বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
চলতি বছর শহরের প্রধান এবং বড় বাজির বাজারগুলিতে ফানুস বিক্রি হচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের একাংশ সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। দীপাবলির আবহে যাতে বড় রকমের কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, সেই কারণে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দমকল ও পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে, ফানুস একবার জ্বালিয়ে ছেড়ে দিলে কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। ফানুস কখন কোথায় গিয়ে পড়বে, তার কোনও ঠিক থাকে না। অন্যদিকে, ফানুস হালকা হওয়ায় বায়ুর গতিবেগের সঙ্গে দ্রুত দিক পরিবর্তন করতে পারে। ফানুসের ভিতর আগুন কতক্ষণ জ্বলবে, কোথায় গিয়ে নিভবে, সেই বিষয়েও কেউ নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
তবে রকেটের ক্ষেত্রেও জ্বালিয়ে ছেড়ে দেওয়ার পর আর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তবে রকেটের ক্ষেত্রে বারুদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আগুন নিভে যায়। অন্যদিকে, ফানুসের বহিরাংশ কাপড় কিংবা কাগজের তৈরি হয়। যে কারণে নীচে জ্বলতে থাকা আগুন সহজেই ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। বহুবার আকাশে দেখা যায়, দাউদাউ করে ফানুস জ্বলছে। এমতাবস্থায় সেটা নীচে পড়লে অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনা তৈরি হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জ্বলন্ত ফানুস কোনও পেট্রোল পাম্প বা মণ্ডপে পড়লে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। তাই বিপদ এড়াতে ফানুসের ওপর কলকাতা পুলিশ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।