কালীপুজোর রাতেই আক্রান্ত হলেন তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) ঊষারাণী মণ্ডল। তাঁর গাড়ি দেখে ইঁট ছোঁড়া হয়। গাড়িতে লাঠি দিয়ে মারা হয়। গাড়ি থেকে বের করা হয় (TMC MLA) ঊষারাণী মণ্ডলকে। তাঁকে ব্যাটন দিয়ে মারা হয়। তাঁর পাশাপাশি তাঁর স্বামীও আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও (TMC MLA) ঊষারাণী মণ্ডলের একাধিক অনুগামী আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগের তীর তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে।
মিনাখাঁর তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্ব বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা সবাই জানে। এবার প্রকাশ্যে তৃণমূলের বিধায়ককে আক্রান্ত হতে হল। না। হামলা চালানোর অভিযোগ তৃণমূলেরই হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আবদুল খালেক মোল্লা ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে।
মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারাণী মণ্ডল জানিয়েছেন, তাঁদের কালী পুজোর নিমন্ত্রণ ছিল। সেখান থেকেই তাঁরা ফিরছিলেন। বিধায়কের দাবি, ফেরার সময় তাঁদের গাড়ির ওপর হামলা চালায় আবদুল খালেক মোল্লা ও তাঁর দলবল। প্রায় ২০০ দুষ্কৃতী গাড়ি লক্ষ্য করে ইঁট পাথর ছুড়তে থাকে। তাঁদের গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, সামনে পুলিশ ছিল, কিন্তু তাঁদের রক্ষা করার জন্য পুলিশ এগিয়ে আসেনি। হামলায় ঘটনায় বিধায়কের পায়ে আঘাত লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। সকালে চিকিৎসা করাতে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান।
অন্য দিকে, মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়ক ঊষারাণী মণ্ডলের স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বলেন, থানা থেকে ফেরার সময় হঠাৎ আমাদের গাড়িতে হামলা হয়। আবদুল খালেক মোল্লা দাঁড়িয়ে থেকে হামলা করিয়েছে। প্রথমে গাড়িতে কয়েকটা ইঁট মারে। তার পর বিধায়ককে শাড়ি ধরে টেনে গাড়ি থেকে নামায়। তাঁর পায়ে রডের বাড়ি মেরেছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকেও কিছু করেনি। ও বিধায়ককে দল করতে দেবে না।
কিছুদিন আগে তৃণমূল বিধায়ক ঊষারাণী মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ উঠেছিল। ২৫ মে বসিরভাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রচারে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় মঞ্চে ঊষরানী মণ্ডলকে দেখা যায়নি। তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত ক্ষমা চেয়ে পায়ে না ধরবে, ততক্ষণ ঊষারানি মণ্ডলের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আপনাদের মতো লোক চাই না। আপনি স্বামীকে নিয়ে দলটাকে বেচে দেবেন? এটা আমি মানবো না।’