কালীপুজোর উদ্বোধন করে ফেরার পথে আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের বিধায়ক (TMC MLA) সুকুমার মাহাতো। সন্দেশখালির তৃণমূলের বিধায়ক (TMC MLA) কালীপুজোর রাতে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে হাটগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আবদুল কাদের মোল্লা ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অনুগামী বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে পুলিশ ইতিমধ্যে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে (TMC MLA)।
বৃহস্পতিবার রাতে ন্যাজাট থানার শিমূলহাটিতে একটি কালীপুজোর উদ্বোধনে যান সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। তখনই তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বিধায়ককে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন তাঁর ৪ অনুগামী। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তখনই তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বিধায়ককে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন তাঁর ৪ অনুগামী।
বৃহস্পতিবার একইভাবে মিনাখাঁর বিধায়ক উষারানী মণ্ডলের ওপর আক্রমণ করা হয়। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারাণী মণ্ডল জানিয়েছেন, তাঁদের কালী পুজোর নিমন্ত্রণ ছিল। সেখান থেকেই তাঁরা ফিরছিলেন। বিধায়কের দাবি, ফেরার সময় তাঁদের গাড়ির ওপর হামলা চালায় আবদুল খালেক মোল্লা ও তাঁর দলবল। প্রায় ২০০ দুষ্কৃতী গাড়ি লক্ষ্য করে ইঁট পাথর ছুড়তে থাকে। তাঁদের গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, সামনে পুলিশ ছিল, কিন্তু তাঁদের রক্ষা করার জন্য পুলিশ এগিয়ে আসেনি। হামলায় ঘটনায় বিধায়কের পায়ে আঘাত লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। সকালে চিকিৎসা করাতে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান।
কিছুদিন আগে তৃণমূল বিধায়ক ঊষারাণী মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ উঠেছিল। ২৫ মে বসিরভাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রচারে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় মঞ্চে ঊষরানী মণ্ডলকে দেখা যায়নি। তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত ক্ষমা চেয়ে পায়ে না ধরবে, ততক্ষণ ঊষারানি মণ্ডলের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আপনাদের মতো লোক চাই না। আপনি স্বামীকে নিয়ে দলটাকে বেচে দেবেন? এটা আমি মানবো না।’