সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Mazumdar) মুখে যোগী রাজ্যের বুলডোজার নীতি। নারী নিরাপত্তা নিয়ে জোর সওয়াল করেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar)। আরজি কর আবহে একের পর এক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রাজ্যের নারী নিরাপত্তা এখন প্রশ্নের মুখে। এই পরিস্থিতি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar) বলেন, বিজেপি সরকার এলে মেয়ের বাবা-মায়ের হাতে চেক ধরাতে হবে না। ধর্ষকদের বাড়ির সামনে বুলডোজার দাঁড়িয়ে থাকবে।
সোমবার কালনায় বিজেপির সদস্য সংগ্রহ কর্মশালা ছিল। সেখানেই তীব্র ভাষায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আক্রমণ করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “আজকে জয়নগর হোক বা আরজিকর হোক, মুখ্য়মন্ত্রী ও তাঁর দলবলের কী সলিউশন? মেয়ের বাবা-মাকে কোনওভাবে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়। তাঁদের হাতে চেক ধরাও।” তিনি বলেন, “বাংলার বিজেপি সরকার তৈরি হলে ধর্ষকের বাড়ির সামনে বুলডোজার দাঁড়িয়ে থাকবে।” এদিন সুকান্ত মজুমদার মহিলাদের অন্নপূর্ণা প্রোজেক্টের ঘোষণা করেন। এই প্রকল্প বিজেপি মহিলাদের তিন হাজার টাকা করে দেবে। কীভাবে ফর্ম ফিলাপ করতে হবে, সেকথাও তিনি বলে দেন।
গত কয়েক মাসে একের পর এক ধর্ষণের কথা প্রকাশ্যে আসছে। কখনও কখনও নির্যাতিতাকে খুন করা হচ্ছে। এই হিংস্র ঘটনা থেকে বাদ যায়নি পাঁচ বছরের শিশু। বাংলায় নারী নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন সমাজের মানুষ সরব হতে শুরু করেছেন। মানুষ কার্যত বিচারের ওপর ভরসা করতে পারছে না। যার জেরে গণপ্রহারে অভিযুক্তের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
ফালাকাটাতে এক পাঁচ বছরের শিশুকে দুজন মিলে ধর্ষণ করে খুন করে। পাঁচ বছরের শিশুর দেহ পুকুরে ফেলে দেয়। সেই সময় গ্রামবাসীরা দেখতে পায়। ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রামবাসীরা পিটিয়ে হত্যা করে। কিন্তু আর এক অভিযুক্ত সেই সময় পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ অপর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, একজন চিকিৎসককে হাসপাতালে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। সেই চিকিৎসক যদি বিচার না পায়, আমরা সাধারণ মানুষ কীভাবে বিচার পাবো? সেই রাগ থেকেই গণপ্রহার।