বাবা সাহেব আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় বা বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতির (Calcutta High Court) শুনানির মধ্যেই রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court) তরফে জানানো হয়, ‘রাজ্যে স্কুলে নিয়োগে দুর্নীতির জন্য শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ, একই কারণে পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগ বন্ধ, এখন কলেজ–শিক্ষাতেও দুর্নীতির অভিযোগ। এই তো অবস্থা!’
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এ রাজ্য ছেড়ে ছেলেমেয়েরা বাইরে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।’ বিএড বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মামলার বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলছেন, ‘উপাচার্যকে অবিলম্বে তাঁর পদ থেকে সরানো উচিত।’ বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, “এই ধরনের কোনও খবর আমার জানা নেই। রাজ্য জুড়ে এখন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। তা থেকে আমাকে বাদ দেওয়ার এটা ষড়যন্ত্র হতে পারে।”
প্রসঙ্গত, বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাজ্যে প্রায় ৬৫০টি বিএড কলেজ রয়েছে। অভিযোগ এই কলেজগুলোর অধিকাংশে কোনও রকম পরিকাঠামো নেই। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন-এর গাইডলাইন অনুযায়ী নূন্যতম যে পরিসেবা কলেজগুলিতে থাকার কথা, সেটুকুও নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে কলেজগুলোতে পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই বিষয়েই কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়।
বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে একটি কলেজের তরফে বলা হয়, বিএড বিশ্ববিদ্যালয় লক্ষ লক্ষ টাকা নিচ্ছে কলেজগুলোর কাছ থেকে, চলছে থ্রেট কালচার। নিয়ম মেনে কলেজগুলো পরিচালনা করলেও অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয় টাকা চাইছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য একটি কলেজের অনুমোদন আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বহু কলেজের অনুমোদন নবীকরণ রিনিউ করার বিনিময়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। অনুমোদন আটকে যাওয়ার কারণে বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় বসতে পারেননি। তারপরেই তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।