মা, ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না। ফোনে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শেষ (Kalna) কথা মাকে বলেছিলেন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তরুণীর রেললাইনে কাটা পড়ার খবর পান মা। এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে কালনায় (Kalna)। জানা গিয়েছে মৃত তরুণীর নাম অঙ্গনা হালদার (Kalna)। তিনি ক্লাস টুয়েলভের ছাত্রী। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে (Kalna)। কিন্ত মাকে করা শেষ ফোনে রহস্য বাড়িয়েছে (Kalna)।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জিউধারা রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা প্রথমে মৃতদেহ দেখতে পায়। তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। জিআরপি গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। জানা গিয়েছে মৃতা ছাত্রীর বাড়ি ধাত্রী এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন মায়ের সঙ্গে কালনায় টিউশন পড়তে আসত ওই ছাত্রী। আবার মায়ের সঙ্গে ফিরে যেতো। কিন্তু সেদিন টিউশন তাড়াতাড়ি ছুটি হয়ে যাওয়ার পরেই যত বিপত্তি ঘটেছে। শুক্রবার অন্যান্য দিনের থেকে একটু আগেই টিউশন ছুটি হয়ে যায়।
সূত্রের খবর, টিউশন থেকে বেরিয়েই ছাত্রী মাকে ফোন করে। তাঁর মাকে ফোন করে বলেন, ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না। পাল্টা মা কোনও প্রশ্ন করার আগেই ফোন কেটে দেন ছাত্রী। ছাত্রীর পরিবার আত্মহত্যার কথা মানতে নারাজ। ছাত্রীর পরিবারের তরফে আশঙ্কা করা হচ্ছে, ছাত্রীর মৃত্যুতে অন্য কারও হাত রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার সময় ছাত্রীর পরিবার জিআরপিতে যান। নিজেদের আশঙ্কার কথা বলেন। অন্যদিকে, খবর পেয়েই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগও। তিনি বলেন, পুলিশের তদন্তে সমস্ত পরিষ্কার হয়ে যাবে। অন্যদিতে, ছাত্রীর পরিবারের এক সদস্য বলেন, “টিউশন শেষে ও মায়ের সঙ্গে ফেরে। কাল টিউশন শেষ হতে না হতেই বেরিয়ে মাকে ফোন করে। ফোনে ওই কথাই শুধু বলে। তারপরই এ ঘটনা।”
এদিন শিলিগুড়ি থেকে এক যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই যুবতী শিলিগুড়িতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। স্থানীয় একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে মনে করছেন, ওই যুবতী আত্মহত্যা করেছেন।