মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তাঁর শপথ গ্রহণ অবশ্য ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে, কিন্তু তিনি তাঁর দল সাজাতে শুরু করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বেশ কয়েকটি পদে নিযুক্ত করেছেন।
এবার ট্রাম্পের লক্ষ্য অবৈধ অভিবাসীদের (Immigration Policy) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা বন্ধ করা। তিনি (Donald Trump) তাঁর বিজয় ভাষণেও একই কথা ঘোষণা করেছিলেন। এই কারণেই নিয়োগ করার সময় তিনি (Donald Trump) এমন আধিকারিকদের বেছে নিচ্ছেন যারা তাঁর পরিকল্পনা (Immigration Policy) কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্পের এই কঠোরতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে ওয়ার্ক ভিসায় বসবাসকারী ভারতীয় অভিবাসীদেরও প্রভাবিত করবে।
ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) প্রাক্তন প্রধান টম হোমানকে ‘বর্ডার জার’ হিসেবে নিয়োগ করেছেন ট্রাম্প (Donald Trump)। হোমান সর্বদাই আগ্রাসী বর্ডার এনফোর্সমেন্টের সমর্থক ছিলেন। তিনি সিনেট দক্ষিণ ও উত্তরের পাশাপাশি সামুদ্রিক ও বিমান সুরক্ষার তদারকি করবেন। উপরন্তু, তাকে নির্বাসনের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। তাঁর নিয়োগের কারণে বিতর্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কারণ, দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি বলেছিলেন যে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বকালের বৃহত্তম নির্বাসন অভিযান (Immigration Policy) বাস্তবায়ন করবেন।
একই সঙ্গে হোমানের এই ঘোষণা ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে সংশয় বাড়িয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে গুজরাট ও পঞ্জাব থেকে অবৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বহু মানুষ এসেছেন। তাদের অধিকাংশই কানাডা ও মেক্সিকো হয়ে মার্কিন মুলুকে প্রবেশ করেছেন। এখন যেহেতু হোমান তার উদ্দেশ্য ঘোষণা করেছেন, তাই এই ধরনের অবৈধ অভিবাসীদের নির্বাসনের (Immigration Policy) সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
হোমান ছাড়াও ট্রাম্প স্টিফেন মিলারকে স্ট্রাটেজির জন্য তার ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ হিসাবে নিযুক্ত করেছেন। মিলারের নিয়োগ অবৈধ এবং বৈধ অভিবাসন উভয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার দিকে ইঙ্গিত করে। এমন পরিস্থিতিতে ভিসা নিয়ে আমেরিকায় বসবাসরত হাজার হাজার ভারতীয়ও প্রভাবিত হতে পারেন। ট্রাম্পের আগের মেয়াদে, মিলার একই ধরনের আগ্রাসী নীতি (Immigration Policy) গ্রহণ করেছিলেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসতি স্থাপনকারী হাজার হাজার ভারতীয় পরিবারকে সমস্যায় ফেলেছিলেন।