বার বার বিশ্বের দরবারে কেন হিন্দু ধর্মকে (Hindus) অসহিষ্ণুতার মুখে পড়তে হয়, এই নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠলেও উত্তর এখনও অধরা। রিপাবলিকান প্রার্থী বিবেক রামাস্বামীকেও সেই হিন্দু (Hindus) ধর্মের কারণের অহিষ্ণুতার মুখে পড়তে হয়েছে। একজন মার্কিন নাগরিক বিবেক রামাস্বামীকে হিন্দু ধর্মকে (Hindus) নিয়ে কটাক্ষ করেন। ওই ব্যক্তি হিন্দু ধর্মকে (Hindus) খারাপ ও পৌত্তলিক ধর্ম বলে উল্লেখ করেন।
তবে সেই তীব্র কটাক্ষের মন্তব্যের পরিমীত উত্তর দিয়েছেন রামাস্বামী। সেই উত্তর হিন্দু ধর্মের সংযমকে প্রকাশ করে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যদি এই ধরনের বিরূপ মন্তব্য অন্য ধর্মের প্রসঙ্গে উঠত বা ভারতে অন্য ধর্মের কোনও ব্যক্তিকে এই ধরনের কটাক্ষ শুনতে হতো, তাহলে কি বিশ্ব এভাবেই নীরব অবস্থান নিতো? বার বার হিন্দু ধর্মকে ভারতের বাইরে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে। অসহিষ্ণুতার মুখে পড়তে হয়েছে। তবে বার বার অসহিষ্ণুতার মুখে পড়লেও হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সহিষ্ণুতার প্রমাণ রেখেছেন। তবে হিন্দু ধর্মকে যেভাবে নিশানা করা হয়েছে, কখনই ইসলাম বা খ্রিস্টানধর্মকে সেভাবে নিশানা করা হয়নি।
রিপাবলিকান প্রার্থী সহনশীলতার সঙ্গে সমস্ত কটাক্ষের উত্তর দিয়েছেন। তিনি কথপোকথন বাড়ানো বা আইনি প্রতিকারের পথে তিনি হাঁটেননি। তিনি শান্তভাবে সেখানে নিজের ধর্মের প্রতি বিশ্বাসের কথা তুলে ধরেছিলেন। ঘটনাটি থেকে তিনি শিক্ষা নিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এই প্রসঙ্গে সমালোচকরা বলেন, ভারতে যদি খ্রিস্টানধর্মের বিরুদ্ধে এভাবে প্রকাশ্যে সমালোচনা করা হতো, তাহলে প্রতিক্রিয়া অনেক ভয়ঙ্কর হতো। সেই সময় হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার অভিযোগ নিয়ে আসা হতো। এর বিরোধিতা শুধু ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো করত না। এর বিরোধিতায় সুর চড়াতো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। সেই মন্তব্যের বিরোধিতা করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতো বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
হিন্দু ধর্মের সহনশীলতাই অন্য ধর্মের থেকে তাকে আলাদা করে। হিন্দু ধর্ম বহুত্ববাদী নীতিতে বিশ্বাস করে। যে কোনও ধরনের সমালোচনাকে সম্পৃক্ত করে আধ্যাত্মিক বিশ্বাসকে সম্পৃক্ত করে। ঠিক বিপরীতে পাশ্চাত্য সভ্যতায় খ্রিস্টধর্মের সমালোচনা করলে প্রায়ই জনরোষের সৃষ্টি হয়।