ফের কলকাতা শহরে দুর্ঘটনার (Bus Accident) বলি শিশু। সল্টলেকে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় (Bus Accident) চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার (Bus Accident) সময় ওই শিশুটি মায়ের স্কুটিতে ছিল। বেপরোয়া গতিতে আসা বাস স্কুটিটিকে ধাক্কা মারলে, ওই পড়ুয়া পড়ে যায়। তাতেই ওই (Bus Accident) শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ঘটনার জেরে (Bus Accident) সল্টলেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
স্কুল ছুটির পর দুই ভাইকে নিয়ে কেষ্টপুর থেকে স্কুটি চালিয়ে ফিরছিলেন তাঁদের মা। সেই সময় ২১৪৫ রুটের দুটি বাস রেষারেষিতে জড়িয়ে পড়ে। এরপরেই পরিস্থিতি সামাল দিতে একটি বাস খুব জোরে ব্রেক কষে। সেই সময় সামনে স্কুটিটা চলে আসে।বাস সেই স্কুটিকে ধাক্কা মারে। ঘটনায় স্কুটি থেকে তিন জনে পড়ে যান। এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পড়ুয়ার ভাই ও মাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত পড়ুয়ার নাম আয়ুষ পাইক। ওই পড়ুয়া কেষ্টপুরের একটি বেসরকারি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় জনতা। তাঁরা রাস্তা অবরোধ করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেছেন, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে সিভিক ভলেন্টিয়াররা কোনও কাজ করেন না। বসে বসে মোবাইল দেখেন। সঠিক নিয়ম মেনে গাড়ি চলছে কি না, ওভার স্পিডে গাড়ি যাচ্ছে কি না, এসব কিছুই দেখে না সিভিক ভলেন্টিয়াররা। এক প্রত্যক্ষদর্শী অভিযোগ করেছেন, বাস যখন ধাক্কা মেরেছে সেই সময় তখন কোনও পুলিশ ওদের উদ্ধারে আসেনি। পুলিশের কর্তব্য কী ছিল? একটা অ্যাম্বুলেন্স ডেকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা। তা না করে বাসের পিছনে দৌড়চ্ছে।”