বাংলায় মাত্র ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন (By elections)। তাতেই রাজ্যে অশান্তির আগুন দেখতে পাওয়া গিয়েছে (By elections)। ছয় বিধানসভার (By elections) বিভিন্ন জায়গা থেকে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের খবর আসছে। ১৭৯ নম্বর বুথের (By elections) আইএসএফ-এর পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হাড়োয়ার মানিকপুর এলাকার কাঁকড়া মির্জানগর রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় এক পোলিং এজেন্ট বুথের বাইরে এসেছিলেন চা খেতে। চা খাওয়ার পর তিনি যখন বুথের ভিতর ঢুকতে যান, তখন তাঁকে মারধর করা হয়। জানা গিয়েছে, অন্য বিধানসভা কেন্দ্রের পাশাপাশি হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে মারধর করেছে। মারধরের সময় আইএসএফ এজেন্ট চিৎকার করেন। তাঁর চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। ততক্ষণে ওই আইএসএফ এজেন্ট গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে স্থানীয় বাসিন্দারাই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের জয়ের ব্যবধান ছিল ৮০ হাজার ৯৭৮। সেখানে এবার বাম সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থী হলেন, পিয়ারুল ইসলাম গাজি।
তৃণমূলের জন্য হাড়োয়ার বহু বুথে বিজেপি এজেন্ট দিতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস বলেন, “আমাদের লোক নেই ঠিক আছে। কিন্তু তৃণমূল রাতের অন্ধকারে আমার এজেন্টকে ভয় দেখিয়েছে। বিভিন্ন বুথ থেকে আমার এজেন্টকে বার করে দেয়া হয়েছে। তিনি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন।”
অন্যদিকে, তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘাত দেখতে পাওয়া যায় নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রেও। সন্ত্রাস হলে EVM ভেঙে দেওয়ার নিদান দিয়েছেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। এই মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী সনৎ দে। তিনি বলেন, “ও ইভিএম ভাঙতে আসুক না। পারলে কোনও বুথে ঢুকুক। এখন অর্জুন বিড়াল। বুথ এ ঢুকে দেখাক।” পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেন, “ভাটপাড়ায় ঘটনা অর্জুন ঘটিয়েছে। আজ ভোট নিয়ে ব্যস্ত আছি। পরে দেখে নিচ্ছি।”