রাজ্যের ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন (By elections)। সেই উপনির্বাচনের (By elections) মধ্যেই একাধিক অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। কোথাও ইভিএমে বিরোধী প্রার্থীর (By elections) বোতামে টেপ লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তো কোথাও বিজেপি এজেন্টকে (By elections) প্রাণে মারার হুমকি। সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনকে (By elections) কেন্দ্র করে একাধিক অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে।
সিতাইয়ের গোসানিমারি বসেরটারি জুনিয়র হাইস্কুলের ১০৪ নম্বর বুথে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘড়ি দেখে ৩০ মিনিটের সময় দেওয়া হয় বুথ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য। তা না করলে প্রাণে মেরে দেওয়া হবে বলেও তৃণমূল নেতা হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই ওই তৃণমূল নেতা হুমকি দিয়েছেন। তৃণমূল সাংসদের সামনেই হুমকি দেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
হোকদহ আদাবাড়ি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের ৬/২ নম্বর বুথের ইভিএমে বিরোধী প্রার্থীদের চিহ্নের ওপর টেপ লাগিয়ে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেখানে এমনভাবে টেপ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে বিরোধীদের চিহ্ন বা প্রার্থীর নাম কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। ওই ইভিএমে ২ নম্বরে ছিল সিতাইয়ের বিজেপি প্রার্থী দীপককুমার রায়ের নাম। ঘটনায় ক্ষোভে পড়েন বিজেপি প্রার্থী দীপক রায়। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট অনুযায়ী ইভিএমে কোনও টেপ লাগানো ছিল না।
অন্যদিকে, মাদারিহাটে পাঁচটি বুথে বিরোধী এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি বলে বিজেপির তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ বুথই চা বাগান এলাকার বলে দাবি মাদারিহাটের বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহারের। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, মুজনাই চা বাগানে বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহারের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি প্রার্থীর দাবি এটা বিক্ষোভ নয়। তৃণমূলের দাদাগিরি।