ঝাঁসি মেডিকেল কলেজে (Jhansi Fire Incident) অগ্নিকাণ্ডে ১০ শিশুর মৃত্যুর পর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে যোগী সরকার। লখনউ থেকে নয়ডা এবং বারবাঙ্কি থেকে আজমগড় পর্যন্ত প্রশাসন সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সারাদিন ধরে সমস্ত বড় এবং ছোট হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করা হয়েছিল। যেখানে অবহেলা পাওয়া গেছে, সেখানে তাদের নোটিশও দেওয়া হয়েছে এবং পরিস্থিতির উন্নতি না করলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
লখনউতে দমকল বিভাগ ৮০টি হাসপাতালে নোটিশ পাঠিয়ে বলেছে যে, নির্দেশিকাগুলি অনুযায়ী হাসপাতালগুলিতে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা পাওয়া যায়নি। লখনউতে প্রায় ৯০৬টি হাসপাতাল পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩০১টি হাসপাতালের কাছে ফায়ার এনওসি পাওয়া গেছে। কিছু হাসপাতাল এখনও পরিদর্শন করা হয়নি।
আজমগড়ের বিভাগীয় জেলা মহিলা হাসপাতাল সহ কোনও সরকারি হাসপাতালে অগ্নি নিরাপত্তা সরঞ্জাম এবং পাইপলাইন পাওয়া যায়নি। ঝাঁসির ঘটনার (Jhansi Fire Incident) পর আজমগড়ের সমস্ত হাসপাতাল বাস্তবতা পরীক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে প্রমাণিত হয়েছিল। হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণের সুবিধার অভাবে রাজ্য সরকারও সমালোচনার মুখে পড়েছে। গত কয়েক বছর ধরে জেলার সমস্ত সরকারি হাসপাতালে অগ্নি নিরাপত্তা কাজ চলছে, কিন্তু কাজ এখনও শেষ হয়নি।
নয়ডায়, দমকল বিভাগের একটি দল চাইল্ড পিজিআই হাসপাতালে দমকল ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছে। কিছু ঘাটতিও ছিল। জানা গিয়েছে, পিজিআই হাসপাতালের (Jhansi Fire Incident) বেসমেন্ট থেকে বিভিন্ন তলায় জল পড়ে যাচ্ছিল। এছাড়াও, কোনও ধোঁয়া সনাক্তকরণ ব্যবস্থা ছিল না। এর পরে, সিএও প্রদীপ কুমার চৌবে ফায়ার সিস্টেম মেরামত করার নির্দেশ দিয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ত্রুটি সংশোধনের জন্য ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। তা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝাঁসি মেডিকেল কলেজের এনআইসিইউতে অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের শর্ট সার্কিটের পর আগুন লাগে (Jhansi Fire Incident)। পুরো এনআইসিইউ অত্যন্ত অক্সিজেনযুক্ত ছিল, তাই আগুন পুরো হলটি গ্রাস করে এবং একটি বিশাল আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় ১৭ জন শিশুকে রক্ষা করা গেছে।
ঝাঁসির এই ঘটনার (Jhansi Fire Incident) পর রাজ্য জুড়ে সরকারি হাসপাতাল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রগুলি বলছে যে অগ্নি নিরাপত্তা একটি সুদূরপ্রসারী বিষয়, অনেক হাসপাতালে একটিও নিরাপত্তা সরঞ্জাম পাওয়া যায়নি। কোনও ঘটনার পরই প্রশাসন কেন জেগে ওঠে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। ঝাঁসির দুর্ঘটনার জন্য মানুষ হাসপাতালের ব্যবস্থাকেও দায়ী করছে।