স্বর্ণকুমারী দেবী প্রতিষ্ঠিত ‘সখী সমিতির’ উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথ ২৭ বছর বয়সে রচনা করেন তার তৃতীয় গীতিনাট্য ‘মায়ার খেলা’ (Mayar Khela)। পরবর্তীতে শেষ বয়সে এই গীতিনাট্যকে নৃত্যনাট্যের রূপ দেন তিনি। প্রবাদ প্রতিম সংগীত শিল্পী মায়া সেনের জন্মদিন উপলক্ষে কলকাতার মধুসূদন মঞ্চে সাগরময় ভট্টাচার্য্য-র পরিচালনায় বুধবার অনুষ্ঠিত হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই গীতিনাট্য ‘মায়ার খেলা’।
সঙ্গীতাংশে ছিলেন সাগরময় ভট্টাচার্য্য,অদিতি দে চট্টোপাধ্যায়,বাংলাদেশের শিল্পী জাহানজীব সরোয়ার শিমুল, শুক্লা মজুমদার,এ বাংলার অনুরাধাবসু ,সোমদত্তা চট্টোপাধ্যায়, দেবাশিস মুখোপাধ্যায় এবং আরও বহু বিশিষ্ট শিল্পীবৃন্দ। নৃত্যাংশে ছিলেন শান্তিনিকেতনের শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়,পল্লবী রুজ,দেবরূপ সরকার,সমতীর্থ রায় চৌধুরী প্রমুখ বিশিষ্ট শিল্পীবৃন্দ। নৃত্যপরিচালনায় ছিলেন শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। সামগ্রিক পরিচালনায় ছিলেন সাগরময় ভট্টাচার্য্য। ২৭ বছর বয়সে রচিত মায়ার খেলা গীতিনাট্যের বেশ কিছু বর্জিত গান- সেই শান্তিভবনভুবন কোথা গেলো,আমি কারে ও বুঝি নে, ইত্যাদি শোনা যায় এই অনুষ্ঠানে। আমার পরান যাহা চায়, সকল হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছি যারে,ওই মধুর মুখ জাগে মনে ইত্যাদি একক পরিবেশনা বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে। তবে সমবেত সঙ্গীত সমগ্র অনুষ্ঠানটি কে অন্য মাত্রা দিয়েছে, এটা বলাই বাহুল্য। নৃত্য পরিবেশনাও ছিল এককথায় অনবদ্য। এছাড়াও, রবিচেতন শিক্ষায়তনের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় একটি বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান ” এ আঁধার হবে ক্ষয়”। প্রায় ৭৫ জন শিল্পী সমবেতভাবে এদিন মঞ্চে পরিবেশন করেন নির্বাচিত ১০ টি রবীন্দ্রসঙ্গীত। পরিচালনায় ছিলেন সাগরময় ভট্টাচার্য্য। অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য মায়ার খেলা পরিবেশনা নিয়ে তাঁর সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেন।