হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে সাময়িক স্বস্তিতে মন্দারমনির হোটেল মালিকরা। জেলা শাসকের হোটেল ভাঙার নির্দেশে সাময়িকভাবে স্থগিতাদেশ দিলেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে বলে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফ জানানো হয়েছে। মন্দারমনি মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ ডিসেম্বর। ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলা শাসককে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
মন্দারমনিতে সমুদ্র সৈকত দখল করে একের পর এক হোটেল তৈরি হয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে বহু হোটেল তৈরি হয়েছে। সমুদ্র সৈকতের ওপর প্রাচীর দিয়ে পর্যটকদের জন্য রীতিমতো আমোদ-প্রমোদের ব্যবস্থা করা হয়েছে হোটেলগুলোতে। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে শতাধিক ‘বেআইনি’ নির্মাণ ভেঙে ফেলার নোটিস দিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০২২ সালে এই বেআইনি হোটেলগুলি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। কারণ, হোটেলগুলি উপকূল বিধি না-মেনেই গড়ে উঠেছিল। এর মধ্যে শুধু দাদনপাত্রবাড়েই রয়েছে ৫০টি হোটেল, সংলগ্ন সোনামুইয়ে ৩৬টি, সিলামপুরে ২৭টি, মন্দারমণিতে ৩০টি হোটেল এবং দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর মৌজায় একটি লজ রয়েছে। এ সবই ভাঙা পড়ার কথা।তবে এই নোটিসকে ঘিরে প্রশাসন স্তরে রীতিমতো চাপান উতোর শুরু হয়। অভিযোগ শীর্ষস্তরের কোনও জেলা আধিকারিক এই নোটিসের বিষয়ে জানতেন না। এমনকী মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও এই নোটিসের বিষয়ে অন্ধকারে ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানিয়ে দেন কোনও বুলডোজার চালানো হবে না। এই বিষয়ে হোটেল মালিকদের সঙ্গে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে দেখে মন্দারমনির হোটেল মালিকরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁরা হাইকোর্টে জানান, “এই হোটেলের ওপর নির্ভর করেই সংসার চলে কয়েক হাজার পরিবারের। এই হোটেলগুলো তৈরির আগে প্রশাসনের তরফে সব ধরনের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। তাই এখন এই হোটেলগুলো অবৈধ ঘোষণা কোনওভাবে করা যেতে পারে না।” শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে মন্দারমনিতে হোটেল ভাঙার নির্দেশের ওপর হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়। ১০ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে মামলার সব পক্ষকে রিপোর্ট হাই কোর্টে পেশ করতে হবে বলে হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।