আরজি কর আবহের মধ্যেই রাজ্যের ছয় বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন (By elections) হয়। ছয় বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের (By elections) দিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলে। আরজি কর কাণ্ডের জেরে শাসকদল বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে ছিল। সেই পরিস্থিতিতে কোন দিকে উপনির্বাচনের (By elections) ফলাফল সেই দিকেই সাধারণ মানুষের নজর ছিল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ছয়টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে (By elections) জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্র বিজেপির ছিল। এই উপনির্বাচনে সেটিও হাতছাড়া হয়ে যায়।
১৩ নভেম্বর মাদারিহাট, সিতাই, তালডাংরা, মেদিনীপুর, নৈহাটি, হাড়োয়া কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। প্রতিটি আসনেই তৃণমূল জয়ী হয়েছে কিংবা অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে এবার টিকিট পাননি প্রাক্তন মন্ত্রী জন বার্লা। তাঁর আসনে লড়ে জয়ী হয়েছেন মনোজ টিগ্গা। বিজেপির শক্ত আসন হিসেবে পরিচিত ছিল মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্র। এমনকী প্রার্থী বদল হতেও লোকসভা নির্বাচনে আলিপুর দুয়ার কেন্দ্রে বিজেপির জিততে কোনও রকম অসুবিধা হয়নি। কিন্তু উপনির্বাচনে সেই আলিপুর দুয়ার বিজেপির হাতছাড়া হল। বিপুল ভোটে জয়ী হলেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা। এই ফলাফল সামনে আসতে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন জন বার্লা। তিনি বলেন, গুরুত্ব দিয়ে ভোট না করানোয় এই পরিণতি হয়েছে। ২০২৬ সালে এই রেজাল্টের কোনও পরিবর্তন হবে না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যেখানে কখনও তৃণমূল জয়ী হতে পারেনি, সেখানে কীভাবে এই বিপুল ভোটে জয়ী হল শাসক শিবির? প্রসঙ্গত, ১৩ বছর তৃণমূল ক্ষমতায় থাকলেও, উত্তরবঙ্গের এই আসনে কখনও জোড়াফুল ফোটেনি। ১৯৬৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বাম শরিক আরএসপির গড় ছিল মাদারিহাট। রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে চা বাগান অধ্যুষিত এই কেন্দ্রে বিজেপি জিতে আসছে।
এদিন প্রাক্তন সাংসজ জন বার্লা বলেন, “আমাদের পাত্তা দেয় না। সংগঠনকে বাদ দিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে এমনটাই হবে।” তিনি বলেন, এই অঞ্চলের ভোট দাঁড়িয়ে আছে চা বাগানের ওপর। আর সেই চা বাগানের খোলনলচে জানেন তিনি। সেই চা বাগানকে গুরুত্ব না দেওয়ায় এমনটা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।