কসবার কাউন্সিলরকে খুনের চেষ্টার পর উঠে আসছে বিঘার পর বিঘা জলাজমি দখলের লড়াইয়ের তত্ত্ব। সেই দুর্নীতির প্রসঙ্গ আসতেই নতুন করে তৃণমূলের দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে (Kanti Ganguly)। এবার নিজেদের ঢাকতে বাম আমলের দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে আনলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, পূর্ব কলকাতা বা বাইপাস সংলগ্ল যে দুর্নীতি হয়েছে, তা বেশিরভাগ বাম আমলে হয়েছে।এবার সরব হলেন বর্ষীয়ান বাম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় (Kanti Ganguly)। তিনি বলেন (Kanti ganguly), “বাম আমলে কিছু দুর্নীতি হয়নি বলব না , কিন্তু আমরা রোখার চেষ্টা করতাম কিন্তু এখন বেলাগাম জমি দুর্নীতি চলছে।”
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, বাম আমলে বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বাম আমলে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বাম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কুণাল ঘোষের অভিযোগের উত্তর দেব না। উনি বলেছেন ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বাম আমলে। মিথ্যা বলেছেন।” পাল্টা তিনি প্রশ্ন করেন, “৫৫ গ্রাম খাল কোথাও উধাও হয়ে গেল, তৃণমূল জবাব দিক। রামসার সাইড বোজানো চলছে, সেটা কি চোখে পড়ছে না?”
বিস্ফোরক অভিযোগ করেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, তৃণমূল ভবন দাঁড়িয়ে রয়েছে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের ওপর। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্রান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এখন তৃণমূলের আমলে বাইপাসের ধারে এক লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তৃণমূল আমলে জলা বুজিয়ে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। পুরনো পঞ্চানগ্রাম খাল কোথায় গেল তৃণমূল জবাব দিক। সব দখল করে নিয়েছে তৃণমূল।”
প্রসঙ্গত, বাম আমলে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতের মুঠোয় ছিল বাইপাস সংলগ্ন বিস্তৃর্ণ এলাকা। বাম আমলে তিনি ১০৯ নম্বর ওয়ার্ড, ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, বরো চেয়ারম্যান, পুর প্রতিনিধি, মেয়র পারিষদ-সব ভূমিকাই পালন করেছেন। পরে তিনি রায়দিঘি থেকে দাঁড়িয়ে রাজ্যের মন্ত্রী হন। তিনি এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাফ জানিয়ে দেন, “বাম আমলে দুর্নীতি হতো। কিন্তু বেলাগাম ছিল না। সব সময় বাম আমলের দুর্নীতি রোখার চেষ্টা করা হতো। এখন প্রতিক্ষেত্রে দুর্নীতি।”