দিল্লিতে বায়ু দূষণের (Air Pollution) মাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। দিল্লিতে লাগামছাড়া বায়ু দূষণের (Air Pollution) জেরে একাধিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে। দেশের একাধিক শহরে বায়ু দূষণের (Air Pollution) মাত্রা হু হু করে বাড়ছে। সেই পথেই হাঁটছে কলকাতা ও হাওড়া। এই দুই শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (Air Pollution) বা একিউআই মডারেট থেকে ভেরি পুওর-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তবে বর্তমানে হাওড়া বা কলকাতার পরিস্থিতি (Air Pollution) দিল্লির মতো ওতো ভয়াবহ হয়ে ওঠেনি বলেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। তবে এখনই কলকাতা ও হাওড়ার বায়ুদূষণের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে, এই দুটো শহরের অবস্থা দিল্লির মতো হবে বলেও বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
গত ৫ নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, কলকাতা ও হাওড়ায় বায়ু দূষণের মাত্রা হু হু করে বাড়ছে। ব্যাপকভাবে একিউআই বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কলকাতা ও হাওড়ার পরিস্থিতি দিল্লির পরিস্থিতির থেকে এখনও পর্যন্ত অনেকটাই ভালো রয়েছে। কলকাতার একিউআই পৌঁছে গিয়েছিল ২২২। অর্থাৎ এটা ভেরি পুওর-এর তালিকায় পড়ছে। অন্যদিকে, দীপাবলির রাতে হাওড়ায় সর্বোচ্চ একিউআই ২৯৩-এ গিয়ে পৌঁছেছিল। অন্যদিকে, দীপাবলির রাতে দিল্লির একিউআই ৪০০ পার করে গিয়েছিল। এরপর গত কয়েকদিন ধরেই তা ৫০০ ছুঁইছুঁই। গত ১৮ নভেম্বর একিউআই পৌঁছে গিয়েছিল ৪৯৪-এ।
কলকাতা এবং হাওড়ার বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে মূল যে দূষণকারী পদার্থগুলির মধ্যে অন্যতম হল পিএম ২.৫, পিএম ১০ এবং নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড। পিএম ২.৫ পলিউট্যান্টের ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করার ক্ষমতা রয়েছে। যার প্রভাবে স্বাস্থ্যের একাধিক ক্ষতি হতে পারে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। কলকাতা আর হাওড়ার মতো শহরে মূলত বায়ুদূষণের জন্য দায়ী গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া, নির্মাণকাজ এবং কলকারাখানা থেকে নির্গত ধোঁয়াই। শীতের মরশুমে হাওয়ার গতিবেগ কমে যায়। যা দূষণকারী পদার্থের উপস্থিতি আরও বাড়িয়ে দেয়। সেখান থেকে শীতকালে বায়ু দূষণের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যায়।