নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam ) মামলায় জামিন পেলেন হুগলি জেলাপরিষদের তৃণমূলের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পান নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত শান্তনু। ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় জামিন (Recruitment Scam) পেয়েছেন। মঙ্গলবার শান্তনু জামিন পেলেও এখনই মুক্তি পাচ্ছে না। ইডির মামলায় জামিন হয়েছে, সিবিআইয়ের মামলায় (Recruitment Scam) জামিন না হওয়ায় জেলেই থাকতে হবে তাঁকে।
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জামিন দিয়েছেন। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, হুগলি জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নদী থেকে বালি পাচারের অভিযোগও রয়েছে। শান্তুনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁকে হেফাজতে নিতে পারে সিবিআই বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
শান্তনুকে প্রথমে সিবিআই আটক করে। একাধিকবার সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয় শান্তনুকে। তারপর সিবিআই শান্তনুকে সিবিআই ইডির হাতে তুলে দেয়। ২০২৩ সালের ১০ মার্চ ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তনুকে গ্রেফতারের আগে ওই মাসের জানুয়ারি মাসে তাঁর বাড়ি ও বাংলোতে তল্লাশি চালানো হয়। সেই তল্লাশি অভিযান থেকে শান্তনুর বাড়ি থেকে প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের একটি তালিকা পাওয়া গিয়েছিল। সেই তালিকায় রাজ্যের ১৭টি জেলার ৩৪৬ জন প্রার্থীর নাম ছিল বলে জানা যায়। ইডির চার্জশিটে বলা হয়েছে, ২৬ জন প্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন শান্তনু। পরে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট খুলে সেই কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করা হয়।
জামিন পাওয়ার পরেও সিবিআই আদালতে মঙ্গলবার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজির করানোর কথা রয়েছে। আগেই সিবিআই শান্তনু ও কালীঘাটের কাকু সঞ্জয়কৃষ্ণ ভদ্রকে আদালতে হাজির করার আবেদন করেছিলেন সিবিআই। সেই আবেদন আদালত মঞ্জুর করে। আজকেই সিবিআই শান্তনুকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে।