আরজি কর (RG Kar) ইস্যুতে আন্দোলনের তীব্রতা কমেছে। উপনির্বাচনের ফলাফলে আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar) কোনও প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়নি। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা (RG Kar) ধীরে ধীরে নিজেদের কাজে ফিরছেন। তবে বিচারের জন্য আন্দোলন যে তাঁরাই এগিয়ে নিয়ে যাবেন, আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar) নির্যাতিতার বাবা-মা খোদ বুঝিয়ে দিলেন। মঙ্গলবার বিধানসভায় গিয়ে নির্যাতিতার বাবা-মা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা বলেন, আপাতত সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটের অপেক্ষায় আছেন তাঁরা। সেটা দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিধানসভার বাইরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার বাবা-মা বলেন, সংবিধান দিবস পালন হচ্ছে। আর আমরা মেয়ের বিচারের আশায় বিধানসভায় এসেছিলাম। এদিন তিনি ফের পথে নামার ইঙ্গিত দেন। নির্যাতিতার বাবা বলেন, “আমরা শুধু সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটটা দেখতে চাই। যদি দেখি কোনও ঢিলেঢালা ব্যাপার আছে, তাহলে আমরা পথে নামব।” আরজি করের নির্যাতিতার মা বলেন, “মেয়ের মৃত্যুর থেকেও বেশি কষ্ট হয়েছিল সেদিন পুলিশের ব্যবহারে। ওই রাতটা যেন কোনও বাবা-মাকে দেখতে না হয়।” আন্দোলন যে থামবে না, সে কথা স্পষ্ট করে দিয়ে তিনি বলেন, “আমার মেয়ের চোখ থেকে রক্ত বেরিয়েছিল। আমি চাই সবাই যেন এই আন্দোলনে আমার পাশে থাকে।”
মঙ্গলবার বিজেপি নেতা সজল ঘোষের গাড়িতে বিধানসভায় আসেন আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মা। মঙ্গলবার ১২টা নাগাদ সজল ঘোষের সঙ্গে দুটি গাড়ি বিধানসভার সামনে আসে। প্রথমে তাঁরা প্রধান ফটকের সামনে আসেন। পরে তাঁরা অন্য গেট দিয়ে বিধানসভায় প্রবেশ করেন। সজল ঘোষের একটি গাড়িতে তিনি নিজে ছিলেন। অন্য একটি গাড়িতে আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মা ছিলেন। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার ঘরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন দু’জনেই। শুভেন্দু ছাড়া সেখানে বিজেপির অন্য বিধায়করাও ছিলেন। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমার পাশে সবাই যে ভাবে দাঁড়াচ্ছে, আগামী দিনে আপনাদেরও আমার পাশে চাই। আমার মেয়েটা কী এমন অপরাধ করল, তাঁকে এমন নির্ম ভাবে মারা হল।” কান্নাভেজা গলায় তিনি বলেন, “আজও জানতে পারলাম না, সেই রাতে আমার মেয়ের সঙ্গে কী ঘটেছিল।” এদিন নির্যাতিতার বাবাও কেঁদে ফেলেন। তাঁর চোখের জল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুছিয়ে দেন বলে জানা গিয়েছে।