বার বার বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের অভ্যন্তরে কোনঠাসা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। এবার তাঁকে শোকজ করল দল। তিন দিনের মধ্যে দলকে উত্তর দিতে হবে বলে মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ককে (Humayun Kabir) জানানো হয়েছে। তবে হুমায়ুন কবীর নিজের অবস্থানে অনড়। তিনি বলেন, “যা বলেছি তার জন্য আমি বিচলিত নই, চিন্তিত নই, অনুতপ্ত নই। চিঠি দিয়ে শোকজ করা তো গর্বের বিষয়।”
এদিন কিছুটা আক্ষেপের সুরে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “মমতা-অভিষেক আমাদের আবেগ। সেই অভিষেকের হয়ে কথা বলার জন্য আমাকে শো কজ করা হল।” তৃণমূলের অভ্যন্তরে নবীন-প্রবীণের মধ্যে দ্বন্দ্ব ক্রমেই প্রকাশ্যে এসেছে। সেই পরিস্থিতিতে হুমায়ুন কবীর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাটন ধরেন। সাফ বলেছিলেন, দলে অভিষেককে কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে। এ কথা বলতে গিয়ে আক্রমণ করে বসেন দলেরই বেশ কিছু প্রবীণ নেতাকে। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিস্তর বিতর্কও হয়। চাপানউতোরও হয় ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে।
তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই পরিস্থিতি আগের মতো এখন কুণাল ঘোষ সব বিষয়ে মন্তব্য করতে পারবেন না। প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা তৃণমূল নেতা বা নেত্রী কথা বলবেন সংবাদমাধ্যমের হয়ে। শুধু তাই নয়, আগে যাঁরা তৃণমূলের হয়ে টেলিভিশন পর্দায় গলা ফাটাতেন, তাঁদের অনেককে আর দেখতে পাওয়া যাবে না। তৃণমূলের তরফে ১২ জনের একটি তালিকা করে দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। সেখান থেকে পুরনো অনেকের নাম বাতিল করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অরূপ চক্রবর্তী, ঋজু দত্ত, সুদীপ রাহা, কোহিনুর মজুমদারের আর টেলিভিশনে তৃণমূলের হয়ে গলা ফাটাতে দেখতে পাওয়া যাবে না।
২১ জুলাই মঞ্চে দলের অভ্যন্তরে রদবদলের কথা শোনা গিয়েছিল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। তারপর থেকে সাংগঠনিক স্তরে রদবদল নিয়ে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। একাধিক চাপানউতোর শুরু হয়েছিল। এই প্রেক্ষিতেই তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠক হয়। তারপরেই মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দলে অভিষেককে কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে। তাঁর নিশানায় দলেরই কিছু প্রবীণ নেতা। দলের অন্দরে ‘অস্বস্তি’ তৈরি হতেই তাঁকে শোকজও করেছে দল।