জামিন পেতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee)। নিয়োগ মামলায় একের পর এক অভিযুক্ত জামিন পাওয়ার পরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee) জামিন পাওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে পার্থ (Partha Chaterjee) ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় জামিন পেয়েছেন। পার্থর (Partha Chaterjee) আইনজীবী মুকুল রোহতগীর স্পষ্ট বক্তব্য, অর্পিতাকে নিয়ে তাঁর কোনও বক্তব্যই নেই। তিনি শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chaterjee) জামিন নিয়ে চিন্তিত।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ছিল পার্থর জামিন সংক্রান্ত মামলা। ইডির কাছ থেকে সুপ্রিম কোর্ট প্রার্থমিক দুর্নীতি মামলার তথ্য চান। সেই প্রেক্ষিতে জামিনের আবেদনের মামলার শুনানি রাখা হয়েছে। পরবর্তী শুনানি সোমবার হওয়ার কথা রয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কতদিন ইডি এবং সিবিআই হেফাজতে ছিলেন, সেই সম্পর্কিত তথ্য ইডি এবং সিবিআই-এর কাছে চাইলেন বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং উজ্জ্বল ভুঁইয়া।
আদালতে রোহতগীর দাবি, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়নি। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ট্রায়াল কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। তবে কেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেন জামিন পাবেন না। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, ২৮ মাস অর্থাৎ প্রায় আড়াই বছর জেলে আছেন পার্থ। আইনের সংস্থান অনুযায়ী, যদি কেউ প্রথমবারের অভিযুক্ত হয় তাহলে মোট শাস্তির এক-তৃতীয়াংশ সময়ে কেউ জেলে থাকলে তাকে জামিন দিতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, আর্থিক প্রতারণার মামলায় সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। অর্থাৎ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এক তৃতীয়াংশ সময় জেলে কাটিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ট্রায়াল শুরু হয়নি। একইসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে, পার্থর ৭৩ বছর বয়স। তিনি অসুস্থ।
অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন। তাঁর জন্য ৫০,০০০ ছাত্র-ছাত্রীর জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গ্রেফতারের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় চিকিৎসকের প্রভাব খাটিয়েছিলেন। মিথ্যা অসুস্থতার বাহানা করেছিলেন। তাঁর জামিন পাওয়া উচিৎ নয় বলেও অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল বলেন।