মাস কমিউনিকেশনের বিভাগের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University)। পরীক্ষার খাতা না দেখে নম্বর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে (Jadavpur University)। যার জেরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) দফায় দফায় বিশৃঙ্খলা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। পড়ুয়ারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) মাস কমিউনিকেশন বিভাগের দুই অধ্যাপকের কেবিলে তালা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে দু’জন অধ্যাপককে v(Jadavpur University) শোকজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পিএইচডি অ্যাডমিশনেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, তদন্ত কমিটির থেকে পদত্যাগ করেছেন বিভাগীয় প্রধান।
গত কয়েক মাস ধরেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস কমিউনিকেশন বিভাগেরর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আসে। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই মাস কমিউনিকেশন বিভাগে নম্বর কারচুপির অভিযোগ ওঠে। ইন্টারনাল পরীক্ষার খাতা না-দেখেই নম্বর বসিয়েছেন অধ্যাপক বলে পড়ুয়ারা অভিযোগ করতে থাকেন। শুক্রবার বিভাগীয় প্রধান পরীক্ষার্থীদের খাতা দেখান। তারপরেই সেই অভিযোগ আরও জোড়াল হয়ে ওঠে।
এই অভিযোগের মধ্যেই দুই ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় DSF ও SFI-এর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ফ্লেক্স ছেড়া নিয়ে বচসার শুরু। পড়ুয়ারা অভিযোগ করেন, সংঘর্ষের সময় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই সংঘর্ষ থামানোর কোনও চেষ্টা নিরাপত্তা রক্ষীরা করেনি বলেই অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে অবশ্য ডিন অফ স্টুডেন্টসের দাবি, নিরাপত্তার বিষয়টি দেখেন রেজিস্ট্রার। তবে এই বিষয়ে দুই ছাত্র সংগঠনের তরফে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বেশ কয়েক মাস ধরেই মাস কমিউনিকেশন বিভাগে। বিশেষ পরীক্ষার্থীদের বেশি করে নম্বর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বার বার। কিন্তু শুক্রবার বিভাগীয় প্রধান পড়ুয়াদের খাতা দেখান। যার জেরে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ আরও জোড়াল হয়ে ওঠে। এই প্রসঙ্গে মাস কমিউনিকেশন বিভাগের পড়ুয়া শুভম গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “উপাচার্যের কাছে আমাদের আবেদন, আরও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ করুক। ইতিমধ্যেই এখানে থ্রেট সিন্ডিকেট অ্যাক্টিভ হয়ে গিয়েছে। সায়ন্তন চট্টোপাধ্যায়দের বাঁচাতে কন্ট্রোলারদের হুমকি দিচ্ছে।”