দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) বলেন, দিল্লি বিশ্বের সবচেয়ে অনিরাপদ রাজধানী। কেন্দ্রীয় সরকার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে অমিত শাহের বাসভবনের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে কতগুলি অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেছে তা দেখানোর জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়াল একটি মানচিত্রও প্রকাশ করেছেন।
দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Arvind Kejriwal) বলেন, “আজ এই সংবাদ সম্মেলন ভারাক্রান্ত হৃদয় ও দুঃখের সঙ্গে করতে হচ্ছে। দিল্লিতে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। দেখতে অনেকটা মুম্বইয়ের মতো। আজ দিল্লি বিশ্বের সবচেয়ে অনিরাপদ রাজধানী। তিন মাসে যমুনার ওপারে গাউংওয়ারে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১০ বছর আগে আমি একটি দায়িত্ব পেয়েছিলাম, স্কুল, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, জল, এই সমস্ত জিনিস আমি ঠিক করেছি। জলের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু দিল্লির নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রের।”
কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) বলেন, “দিল্লিতে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা অমিত শাহের দায়িত্ব। গত ১০ বছরে আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি করতে ব্যর্থ হয়েছেন অমিত শাহ। দিল্লিকে বলা হচ্ছে ধর্ষণের রাজধানী এবং গ্যাংস্টারদের রাজধানী। আজ নারী ও ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত। গতকাল আমি নাঙ্গলোই গিয়েছিলাম গুলিবিদ্ধ এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেখা করতে। আমি শুধু তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম, কিন্তু বিজেপি সাংসদরা তাঁদের লোকদের নিয়ে সেখানে পৌঁছন এবং আমাকে থামানো হয়। কোনও কিছুই আমাকে থামাতে পারবে না অমিত শাহজি।”
দিল্লির আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) বলেন, “গত এক বছরে, ১৬০টি মুক্তিপণের ফোন এসেছে। এরকম কত ফোন আসবে, মানুষ বলতে পারবে না। একজন ব্যবসায়ী একটি বিদেশী নম্বর থেকে মুক্তিপণের কল পেয়েছিলেন, যদি তিনি তা না দেন, তবে একটি শ্যুট-আউট হয় যাতে তিনি ভয়ে টাকা দেন। আজ দিল্লিতে ব্যবসা করা অপরাধ হয়ে উঠছে। অমিত শাহের বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ঘটনাটি ঘটে। অমিত শাহ যদি নিজের বাড়ির ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ রক্ষা করতে না পারেন, তাহলে তিনি কীভাবে দেশকে সুরক্ষিত রাখবেন?”
তিনি বলেন, “তারা (বিজেপি) ‘বেটি পড়াও এবং বেটি বাঁচাও’ নিয়ে কথা বলে। আমাদের মেয়েদের শিক্ষিত করানোর দায়িত্ব আমাদের ছিল। আমরা পড়িয়েছি। বাঁচানোর দায়িত্ব ছিল আপনার। দিল্লিকে সবচেয়ে নিরাপদ রাজধানী কেন বানাতে পারেন নি? ১০ বছরে এটা থামানোর জন্য আপনি কী করেছেন? দিল্লির মানুষ কোথায় যাবে? দিল্লির মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। আপনি যদি সামলাতে না পারেন, তবে এটি অন্য কাউকে দিন।”