বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট বাংলাদেশে ইসকনের (Bangladesh Iskon) কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানায়। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারকেও ভর্ৎসনা করেন বেঞ্চ। বাংলাদেশে ইসকন প্রধান চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের বহু মানুষ বিক্ষোভ করছেন। নিরাপত্তাকর্মী ও জনগণের মধ্যে সংঘর্ষে একজন আইনজীবী নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে অব্যাহত সহিংসতার মধ্যে, বৃহস্পতিবার সেখানকার হাইকোর্ট ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে অস্বীকার করেছে। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বাংলাদেশ ইসকন(Bangladesh Iskon) প্রধান চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ প্রতিবাদ করছেন। বিক্ষোভ চলাকালীন একজন আইনজীবী মারা যান, যার পর বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়।
আদালত রিপোর্ট চেয়েছিল
কিছু সংবাদপত্র সংস্থা সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করার পরে আইনজীবীরা বুধবার হাইকোর্ট থেকে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসায়নেস (ইসকন) এর উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়েছিলেন। দ্য ডেইলি স্টারের খবরে বলা হয়েছে, হাইকোর্ট অ্যাটর্নি জেনারেলকে ইসকনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে তথ্য দিতে বলেছিল।
কেন ইসকনের প্রসঙ্গ উঠল?
আমরা আপনাকে বলে রাখি যে বাংলাদেশে ক্রমাগত হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে। এ কারণে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। এই প্রতিবাদে অংশগ্রহণের কারণে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার সংঘর্ষের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাতে সাইফুল ইসলাম নামে একজন সহকারী সরকারি আইনজীবী নিহত হন।
প্রতিবেদনে কী বলেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল?
বৃহস্পতিবার যখন হাইকোর্টের কার্যক্রম শুরু হয়, তখন অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় বিচারপতি ফারাহ মেহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চের সামনে আদালতের চাওয়া তথ্য তুলে ধরে, ডেইলি স্টার জানিয়েছে। অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদ উদ্দিন হাইকোর্ট বেঞ্চকে জানান, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইসকনসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারকে তিরস্কার করেছে আদালত
অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতিবেদন পড়ে বাংলাদেশ সরকারকে সতর্ক করে বেঞ্চ। আদালত আশা প্রকাশ করেন যে, সরকার বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তার বিষয়ে সজাগ থাকবে।