হাম দো, হামারে চার! রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury) সম্প্রতি দাবি করেছেন, প্রতি দম্পতির চার জন সন্তান থাকা প্রয়োজন। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর (Siddiqullah Chowdhury) এই মন্তব্যের পরেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সিদ্দিকুল্লার (Siddiqullah Chowdhury) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury) রাজ্যে জনসংখ্যার বিন্যাস পরিবর্তন করতে এই ধরনের মন্তব্য করেছেন। কেন্দ্রের কাছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল আনার দাবি জানান শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বিরুদ্ধে নওশাদ সিদ্দিকী মন্তব্য পেশ করেন।
বুধবার বিধানসভায় সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী হাম দো, “হামারে চার মন্তব্য পেশ করার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ‘সন্তানের সংখ্যা বাড়ে স্বামী, স্ত্রী এবং তাদের প্রজননের বিষয় নিয়ে। হম দো হমারে চারের এটা হল বিশ্লেষণ।” এদিকে সিদ্দিকুল্লার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শঙ্কর ঘোষ পয়েন্ট অফ অর্ডার এনেছিলেন। শঙ্করবাবু স্পিকারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে সিদ্দিকুল্লার এই মন্তব্য অধিবেশনের কার্যবিবরণীতে যাবে কি যাবে না। সেই বিষয়ে সিদ্দিকুল্লা বলেন, “আমার বক্তব্য রেকর্ডে থাকুক না। আমাকে যদি স্পিকার বলেন এর উত্তর দিতে তখন আমি এর বিশদ বিবরণ দিচে পারব। গ্রাম বাংলায় হিন্দু, মুসলিম সবাই চায় তাদের সন্তান থাকুক। এই নিয়ে তারা গর্বিত। চিনের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে তাদের সমসংখ্যক জনসংখ্যা থাকতে হবে তো। তাই হম দো, হমারা চার দরকার। হম দো, হমারা দো – দিয়ে হবে না।”
অন্যদিকে, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা একটি পোস্টে লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্ত্রী সম্প্রি দাবি করেছইলেন যে তিনি ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ হতে দেবেন না। এখন তিনি ‘হম দো, হমারা চার’ নীতির প্রচার করছে। ভারত এমন এক দেশ যারা জনসংখ্যা বিস্ফোরণের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কয়েক দশক ধরে আমরা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে চেষ্টা করে চলেছি। আর এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে মমতার এক সিনিয়র মন্ত্রী ‘মানুষদের’ আরও বেশি করে সন্তান নিতে বলছেন। তাও আবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে। এটা পশ্চিমবঙ্গের জন্যে বিপদ ঘণ্টি। ভারতের সবচেয়ে জনসংখ্যা ঘনত্ব এই রাজ্যে। এখানে লাখ লাখ রোহিঙ্গার বাস। সংখ্যালঘুদের সংখ্যা এখানে ৩৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই মন্তব্যের মাধ্যমে কি সিদ্দিকুল্লা কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বার্তা দিলেন? এটা কি জনসংখ্যা বিন্যাসের ইঙ্গিত?’