আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) কোথায় এবং কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে বিতর্কের কোনও শেষ নেই। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধের কারণে, এর সময়সূচী এখনও ঘোষণা করা হয়নি। ২৯শে নভেম্বর আইসিসি-র একটি বৈঠক হয়েছিল যেখানে তাদের সংগঠন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এই বৈঠকটি পরের দিন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। এখন আপডেট আসছে যে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এই টুর্নামেন্টটি হাইব্রিড মডেলের অধীনে করতে সম্মত হয়েছে, তবে কিছু শর্তও সামনে রেখেছে।
আইসিসি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) একটি আলটিমেটাম দিয়েছিল যে হাইব্রিড মডেলটি এখন ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) আয়োজনের একমাত্র বিকল্প। পিসিবি যদি রাজি না হয়, তাহলে তাদের দল টুর্নামেন্ট থেকে বাদ যাবে এবং এই আইসিসি টুর্নামেন্ট অন্য দেশে অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ নভেম্বর বোর্ড সভায় আইসিসি এই কথা জানিয়ে দেয়।
ভারত সরকারের নীতির কথা উল্লেখ করে বিসিসিআই পাকিস্তান সফর করতে স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছে। আইসিসি তখন “হাইব্রিড মডেল” প্রস্তাব করে, যা পাকিস্তান ক্রিকেট এখনও মেনে নেয়নি। আইসিসি-ও এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি বৈঠক করেছিল, কিন্তু তার পরেও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ভারতের পাশাপাশি এখন পাকিস্তানে নিরাপত্তার বিষয়টিও অন্যান্য দেশের বোর্ড উত্থাপন করেছে।
হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) আয়োজন না করার যে গো ধরেছিল পাকিস্তান, সেখান থেকে কিছুটা নরম হয়েছে। জানা যাচ্ছে, হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন করতে সম্মত হয়েছে পিসিবি, তবে কিছু শর্তও রেখেছে —
১) দুবাইয়ে ভারতের ম্যাচঃ গ্রুপ পর্ব, সেমি-ফাইনাল এবং ফাইনাল সহ ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাথে জড়িত সমস্ত ম্যাচ (যদি তারা যোগ্যতা অর্জন করে) ভারত সরকার তাদের দল পাকিস্তানে পাঠাতে অস্বীকার করায় সবকটিই দুবাইতে অনুষ্ঠিত হবে।
২) লাহোরে ব্যাকআপ হোস্টিংঃ ভারত যদি গ্রুপ পর্ব অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে পাকিস্তান লাহোরে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল আয়োজনের অধিকার সংরক্ষণ করে রেখেছে।
৩) আইসিসি টুর্নামেন্টের জন্য নিরপেক্ষ স্থানঃ পিসিবি আরও শর্ত দিয়েছে যে ভারত যদি ভবিষ্যতে কোনও আইসিসি ইভেন্টের আয়োজন করে তবে পাকিস্তানের ম্যাচগুলি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলা হবে।