বাংলাদেশ নিয়ে উত্তেজনা যেন ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে (ISKON)। বিবৃতি, পাল্টা বিবৃতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের (ISKON) গ্রেফতারি নিয়ে বাংলাদেশ ইস্যুতে উত্তাল হয়ে পড়েছে রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে বৈধ ভিসা থাকার পরেও ইসকনের (ISKON) ৫৪ জন সন্ন্যাসী ভারতে প্রবেশের অনুমতি পেলেন না। শনিবার বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতের দিকে আসছিলেন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ- ইসকনের (ISKON) ৫৪ ভক্ত। কিন্তু তাঁদের বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন (ISKON) কর্তৃপক্ষ ফিরিয়ে দেয় বলে জানা গিয়েছে।
শনিবার ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ইসকনের এই সমস্ত ভক্তরা বেনাপোলে ইমিগ্রেশনে আসেন। শনিবার সকালেই তাঁরা বেনেপোলে পৌঁছে গেলেও সারাদিন তাঁদের বসিয়ে রাখা হয়। বিকেলে ইমিগ্রেশনের পক্ষ থেকে তাঁদের জানানো হয়, ভারতে প্রবেশের অনুমতি মিলবে না। যার জেরে তাঁরা আবার ফিরে যান। ঘটনায় হতাশ ইসকন। ইতিমধ্যে ঘটনাটি নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
তবে বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ বলছেন, ভক্তদের সন্দেহজন গতিবিধি ছিল। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ইসকনের সদস্যরা বলেছিলেন, ধর্মীয় আচার পালন করতেই তাঁরা ওপারে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কেন তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনও সঠিক তথ্য নেই।
প্রসঙ্গত, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই হিন্দু সহ সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর থেকে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। একদিকে যেমন বাংলাদেশের হিন্দু সহ সংখ্যালঘুরা বিক্ষোভের পর বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেছেন। তেমনি সারা রাত ভারত সহ পশ্চিমবঙ্গের সংগঠনগুলো ব্যাপকভাবে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, বিজেপির মতো সংগঠনগুলি ইতিমধ্যে কলকাতায় আন্দোলন করেছেন। বিক্ষোভ করেছেন। যার জেরে কলকাতায় বাংলাদেশ হাই কমিশনে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তারমধ্যেই বৈধ ভিসা থাকার পরেও ইসকনের ৫৪ জন সাধুকে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দিল না বাংলাদেশ। যার জেরে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।