অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার বিশাখাপত্তনম ও বিজয়ওয়াড়ার জন্য প্রথম পর্যায়ের মেট্রো রেল (Metro Rail) প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্পগুলির আনুমানিক মোট ব্যয় ২২,৫০৭ কোটি টাকা, যার মধ্যে বিশাখাপত্তনমের জন্য ১১,৪৯৮ কোটি টাকা এবং বিজয়ওয়াড়ার জন্য ১১,০০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বিশাখাপত্তনমে প্রথম পর্যায়ে তিনটি করিডোর থাকবেঃ স্টিল প্ল্যান্ট জংশন থেকে কোমাড়ি (৩৪.৪০ কিমি), গুরুদ্বার থেকে পুরাতন ডাকঘর (৫.০৮ কিমি) এবং থাটিচিতলাপালেম থেকে চায়না ওয়াল্টেয়ার (৬.৭৫ কিমি) ৪২ টি স্টেশন সহ মোট ৪৬.২৩ কিমি জুড়ে বিস্তৃত হবে। .. এই প্রকল্পে ৮৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৯.৭৫ একর জমির প্রয়োজন হবে।
কোমাড়ি থেকে ভোগাপুরম পর্যন্ত চতুর্থ করিডোরটি (Metro Rail) দ্বিতীয় পর্যায়ে চালু করা হবে, যা আনুমানিক ১৪,৩০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে মেট্রো ব্যবস্থা ৭৬.৯০ কিলোমিটার প্রসারিত করবে। এই প্রকল্পটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) মডেল অনুসরণ করবে, যার ৪০ শতাংশ কেন্দ্র থেকে এবং ৬০ শতাংশ বেসরকারি ডেভেলপারদের কাছ থেকে অর্থায়ন করা হবে। এদিকে, বিজয়ওয়াড়া মেট্রো প্রকল্পটি (Metro Rail) প্রথম পর্যায়ে দুটি করিডোর নিয়ে গঠিতঃ গান্নাভরম থেকে পণ্ডিত নেহেরু বাস স্টেশন (পিএনবিএস) এবং পিকেবিএস থেকে পেনামালুরু, মোট ৩৪ টি স্টেশন সহ ৩৮.৪০ কিলোমিটার। জমি অধিগ্রহণের জন্য বরাদ্দ ১,১৫২ কোটি টাকা সহ প্রথম পর্যায়ের আনুমানিক ব্যয় ১১,০০৯ কোটি টাকা।
দ্বিতীয় পর্যায়ে অমরাবতীর জলাধার স্টেশনের সঙ্গে পিএনবিএস-এর সংযোগকারী তৃতীয় করিডোরের (Metro Rail) দিকে মনোনিবেশ করা হবে, যা ভবিষ্যতের উন্নয়ন। এই প্রকল্পগুলি এই অঞ্চলের পরিবহণ ব্যবস্থাকে রূপান্তরিত করবে, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করবে এবং যানজট হ্রাস করবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই দুটি প্রকল্পের জন্য বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন (ডিপিআর) অনুমোদন করেছে, যা আরও অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রের কাছে জমা দেওয়া হবে।