২০২৫ সালে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ছুটির তালিকা প্রকাশ পেয়েছে। সেই ছুটির তালিকায় একের পর এক চমক রয়েছে (Calcutta High Court) । তেমনি একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এবার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ছুটির তালিকায় যুক্ত রয়েছে রাম নবমী। অথচ হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বার বার আবেদন করার পরেই মে দিবসকে ছুটির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সেক্ষেত্রে কীভাবে রাম নবমীতে ছুটি দেওয়া হল, সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে কি হাইকোর্টেও (Calcutta High Court) গেরুয়াকরণ হল?
বার বার প্রশ্নের মুখে পড়েছে হাইকোর্টের ছুটি। হাইকোর্টে কেন এত ছুটি, সেই নিয়েও বার বার প্রশ্ন উঠেছে। এবার সেই ছুটির তালিকায় যুক্ত হয়েছে রামনবমী। সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মে ডেতে ছুটি নেই, কীভাবে রাম নবমীতে ছুটি হল, সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, “মে ডে-র দিন ছুটি আমাদের হাইকোর্টে ছিল। হঠাৎ করে কোনও কারণ ছাড়াই মে দিবসে আমাদের ছুটি বাতিল হয়। আমরা পাঁচটি ক্যালেন্ডার সমেত অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে জানিয়েছিলাম যাতে ছুটি দেওয়া হয়। তারপরও আমাদের হাইকোর্টের ক্যালেন্ডার অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে না।
হাইকোর্টে রাম নবমীর ছুটি নিয়ে বিশেষ উত্তেজিত নন বিজেপি পন্থী আইনজীবীরা। তাঁরা মনে করছেন, সারা ভারতের দেবতা রাম। তাঁর পুজোর দিনে ছুটি থাকা দরকার। বিজেপি পন্থী আইনজীবী নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “রাম আমাদের আস্থা। ১৪০ কোটি ভারতবাসীর শ্রীরাম হচ্ছে সংস্কৃতি। আর আমরা ভারতবাসী। আমাদের সংস্কৃতীকে যে স্বীকৃতি দেওয়া হবে এটাই স্বাভাবিক। আর মে ডে ঐতিহাসিক বিপ্লবের মুহূর্ত। পৃথিবীতে এমন প্রচুর বিপ্লব হয়েছে। এখন সব দিবস যদি ছুটি দেওয়া হয় তাহলে কোর্ট হবে না।”
যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল পন্থী আইনজীবীর কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁদের মতে যতদিন মে দিবসে ছুটি থাকছে না, ততদিন রাম নবমীতে ছুটি থাকলে খারাপ কী? তাঁরা মনে করছেন, যত ছুটি থাকবে, তত ভালো।