অভ্যুত্থানের পর থেকে ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের (India-Bangladesh Relations) পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এখানে সংখ্যালঘুদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। অবস্থার কোনও উন্নতি হচ্ছে না। হিন্দু ও মন্দিরের উপর হামলা থামবে না। এদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি সোমবার, ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তারা কিছুদিন আগে বাংলাদেশে পৌঁছেছে।
Bangladesh | Foreign Secretary Vikram Misri arrives in Dhaka. He will meet his Bangladeshi counterpart as India’s structured interactions with Bangladesh
(Source – Bangladesh MoFA) pic.twitter.com/sKmi9uZ12k
— ANI (@ANI) December 9, 2024
বিক্রম মিশ্রের এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ১২ ঘণ্টার সফরে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ জসিমউদ্দিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ তৌহিদ হুসেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই বৈঠকে তিনি সেদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় ও মন্দিরগুলিকে জোরপূর্বক লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি উত্থাপন করবেন। আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ব্যাপক বিদ্রোহের পর নয়াদিল্লি (India-Bangladesh Relations) থেকে এটি প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর।
অন্যদিকে, শেখ হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ (India-Bangladesh Relations) তার উদ্বেগ উত্থাপন করতে পারে। সূত্রের খবর, গত মাসেই ইউনূস বলেছিলেন, তাঁর সরকার ভারতের কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের আবেদন জানাবে। আগস্টে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভের কারণে হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়ার পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে (India-Bangladesh Relations) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার কয়েক দিন পর ইউনূস ক্ষমতায় আসেন।
#WATCH | Bangladesh | Foreign Secretary Vikram Misri arrives at State Guest House, Padma in Dhaka to meet his Bangladeshi counterpart pic.twitter.com/zn6uE95ii0
— ANI (@ANI) December 9, 2024
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে হিন্দুদের উপর হামলা এবং হিন্দু ধর্মীয় গুরু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের কারণে সম্পর্কের (India-Bangladesh Relations) আরও অবনতি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার পাশাপাশি মন্দিরগুলিতে হামলার ঘটনা গত কয়েক সপ্তাহে বেড়েছে, যা নয়াদিল্লিতে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এর আগে 29 নভেম্বর বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছিলেন, “এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট-অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই সমস্ত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করতে হবে।”