এই সময় উত্তরবঙ্গে পর্যটকদের বেশ ভালোই ভিড় হয় (Siliguri)। সামনেই বড় দিন আসছে। সেই সময়ের ছুটি উত্তরবঙ্গের ট্যুরিস্ট স্পটগুলোতে পা রাখার জায়গা হয় না (Siliguri)। এই ভরা মরশুমে কঠিন সিদ্ধান্ত নিল শিলিগুড়ির (Siliguri) হোটেল ব্যবসায়ীরা। শিলিগুড়ির (Siliguri) কোনও হোটেলে বাংলাদেশীদের স্থান হবে না। তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে (Siliguri)। শিলিগুড়ি (Siliguri) শহর কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হল বাংলাদেশীদের জন্য।
পর্যটকদের এই মরশুমে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ আসেন। সেই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশীদের জন্য দরজা শিলিগুড়িতে বন্ধ করে দেওয়া হল। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে জেনেও শিলিগুড়ির ব্যবসায়ীরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শিলিগুড়ি ও তৎসংলগ্ন এলাকায় কোনও হোটেলে বাংলাদেশীরা আর স্থান পাবেন না। তবে কবে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত শিলিগুড়ির ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
বাংলাদেশ থেকে যাঁরা সিকিম বা দার্জিলিং ঘুরতে আসেন, তাঁরা দুদিন শিলিগুড়িতে থেকে যান। সেখান থেকে জিনিস কেনা-কাটা করেন। সেক্ষেত্রে ভরসা শিলিগুড়ির হোটেল। কিন্তু শিলিগুড়ির ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশী পর্যটকরা বিপাকে পড়বে বলে মনে করা হয়েছে।
শিলিগুড়ি হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দার্জিলিং কমিশনারেট অন্তর্গত যে হোটেল আছে ও তার বাইরেও যে হোটেল রয়েছে তাদের মধ্যে এনিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। তারপর এনিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে প্রায় ৯০ শতাংশের উপর হোটেল মালিক বাংলাদেশিদের হোটেলে থাকতে না দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তারপরই এই সিদ্ধান্ত।
অন্যদিকে, ভারত বাংলাদেশীদের এই মুহূর্তে ট্যুরিস্ট ভিসা দিচ্ছে না। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশীদের এমারজেন্সি ছাড়া কোনও ভিসাই এই মুহূর্তে দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশে ক্রমাগত সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ উঠে আসছে। তারমধ্যে বাংলাদেশের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে গ্রেফতারের পর পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে যায়। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে।