TMC Leader: মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই উত্তাল নন্দীগ্রাম! কুপিয়ে খুন তৃণমূল নেতাকে

মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রামে যাওয়ার কথা রয়েছে (TMC Leader)। তার আগেই নন্দীগ্রামে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল (TMC Leader)। উত্তপ্ত হয়ে উঠল নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রামে রবিবার রাতে এক তৃণমূল নেতাকে (TMC Leader) কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তৃণমূলের (TMC Leader) ব্লক সভাপতি দুষ্কৃতীদের হামলায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর (TMC Leader)অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। নন্দীগ্রামের কালীচরণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় (TMC Leader) এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।

 

বিজেপির বিরুদ্ধে এই হামলার অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধ ডেকেছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার রাতে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের কালীচরণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭ নম্বর জালপাই এলাকায় আচমকাই একদল দুষ্কৃতী তৃণমূল ব্লক সভাপতি গুরুপদ মণ্ডল ও তৃণমূল কর্মী বিষ্ণুপদ মণ্ডলের ওপর ধারালো কিছু অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। অভিযোগ, এই  দুই তৃমমূল নেতার ওপর একের পর এক কোপ বসায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় দুই তৃণমূল নেতা চিৎকার শুরু করেন। ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে। এতে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর আহত অবস্থায় দুই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই রাত্রি দেড়টা নাগাদ তৃণমূল নেতা বিষ্ণপদ মণ্ডলের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, গুরুপদ মণ্ডলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তৃণমূলের তরফে বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়েছে।

তবে বিজেপি তৃণমূলের তোলা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মেঘনাদ পালের দাবি, এটা কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয়। এই ঘটনা হল পারিবারিক বিবাদ। আসলে তৃণমূল কর্মী আর নেতার মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। তারা দুজনে মদ্যপ অবস্থায় নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করে। তারপরেই এমন কাণ্ড। ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করলেই জানা যাবে আসল দোষী কে?