টেলারিংয়ের দোকান। পাড়ার মধ্যেই দোকান (ED Raid)। একেবারে ছাপোষা জীবন। প্রতিবেশী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা কোনওদিন সন্দেহজনক কিছ দেখেনি তাদের জীবনে (ED Raid)।মঙ্গলবার সাত সকালে যখন সেখানে একের পর গাড়ি (ED Raid) দাঁড়াল, প্রতিবেশীরা কার্যত অবাক হয়ে যায় (ED Raid)। বাড়ির বেল বাজানো হল। বাইরে থেকে আসা মানুষগুলো ভিতরে চলে গেল। ততক্ষণ প্রতিবেশীরা বুঝতে পেরেছে, বাড়িতে ইডি (ED Raid) আধিকারিকরা হানা দিয়েছে। কিন্তু প্রতিবেশীরা বুঝতে পারছে না, টেলারিংয়ের দোকানের মালিক এমন কী করেছে, যে ইডিকে হানা দিতে হল! এই ঘটনায় বর্ধমানের লস্করদিঘি এলাকায় কার্যত চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই দর্জির নাম হাসান আলি। তিনি বর্ধমানের লস্কর পাড়ার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। ওই এলাকাতেই তাঁর একটা টেলারিংয়ের দোকান রয়েছে। মঙ্গলবার চার-পাঁচ জনের ইডির একটা দল তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে। এখনও পর্যন্ত ইডির দলটি সেই বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে কি কারণে এই ইডির হানা তা এখনও জানতে পারা যায়নি। হাসান আলির বাড়ির সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। হাসান আলির বাড়ির গলির মোড়ে উৎসাহী প্রতিবেশীদের ভিড় লেগে রয়েছে। সকলের মনে একটাই প্রশ্ন, টেলারিংয়ের পাশাপাশি কি করত হাসান আলি, যার জন্য ইডির আধিকারিকরা রেড করছেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের চকবড়ালির মধ্যপাড়া এলাকাতেও জলিল মোল্লা নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। প্রতিবেশী সূত্রে জানা গিয়েছে, জলিল মোল্লা অনলাইনে কাজ করত। অনলাইনে একটি দোকান রয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো কলসেন্টার চালানোর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি কলকাতার কাশীপুর ভট্টাচার্য পড়ায়তেও এক জনের বাড়িতে একই কারণে ইডি হানা দিয়েছে বলে খবর।