মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chaterjee) জমিনের শুনানি হয়। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chaterjee) আইনজীবী একাধিক ইস্যু তোলেন আদালতে। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chaterjee) আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ শিক্ষা দফতেরর ৫ আধিকারিক প্রভাবশালী, রাজ্যের সঙ্গে তাঁদের যোগ রয়েছে বলে সিবিআইয়ের যে দাবি করেছে তার পক্ষে সিবিআইয়ের কাছে কি প্রমাণ আছে?এক্ষেত্রে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আসলে কিং মেকার।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শুনানির সময় জোর সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী মুকুল রোতহোগী। যে জায়গা থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে সেই জায়গার মালিকানাও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নয়। এই পরিস্থিতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু শুনানির শুরু থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ দিতে থাকেন।
বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি হয় হাইকোর্টে। শুনানির সময় বার বার বিচারপতি সূর্যকান্তের দাবি করেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে তাঁর সামাজিক প্রভাবের কথা। তিনি বলেন, “আমাদের দেখতে হবে উনি মুক্তি পেলে তদন্তের উপর প্রত্যক্ষভাবে কীভাবে প্রভাব পড়তে পারে। আমরা আপাতত একটা ব্রেক (জামিন আটকানো প্রসঙ্গে) দিতে পারি। কিন্তু, অনির্দিষ্টকালের জন্য হতে পারে না।” এরপরেই বিচারপতি ইডির কাছে জানতে চান, পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পেলে কীভাবে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে? এই প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, প্রয়োজনে তিনি অন্য রাজ্যে গিয়ে থাকতে পারেন। অন্যদিকে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু জানান দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে চার্জ ফ্রেম করা হবে। এই মামলায় বিভিন্ন সংস্থার নাম উঠে এসেছে। সেই মামলাগুলো পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়ন্ত্রণ করতেন। ওই সংস্থাগুলোর ওপর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রভাব যথেষ্ঠ রয়েছে। এদিন ইডির তরফে অভিযোগ করা হয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য প্রায় পঞ্চাশ হাজার গরিব ছাত্র-ছাত্রী যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও চাকরি পাননি। দীর্ঘ সময় ধরে এই জামিনের শুনানি চললেও তার রায় দেওয়া হয়নি।
গত সপ্তাহের সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, যার ফ্ল্যাট থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে সেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায় জামিন পেয়ে গেলে পার্থবাবু আর কী দোষ করলেন? তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যে ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।