তিনি (Bangladesh) ইসকনের ভক্ত। তাই তাঁকে অপহরণের ছক কষা হয়েছিল (Bangladesh)। জানতে পেরেই সীমান্ত পেরিয়ে (Bangladesh) ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে কিশোরী। তবে এপারে এসে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছে কিশোরী। তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরে। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের (Bangladesh) পঞ্চগড় জেলার বাসিন্দা। পায়ে হেঁটেই তিনি সীমান্ত পার করেছিলেন।
বিএসএফকে কিশোরী জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি প্রতিটি সদস্য ইসকনের ভক্ত। তাই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ওই কিশোরীকে অপহরণের হুমকি দেওয়া হয়। এরপরেই ওই কিশোরী ভারতে পালিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন। বৈধ ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে কতদিনে ভারতে আসতে পারবেন, সেই নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তাই ওই কিশোরী বৈধ কাগজ ছাড়াই ভারতে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই কিশোরী দাবি করেছেন, বাংলার জলপাইগুড়িতে তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে, সেখানেই তিনি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। অন্যদিকে, পুলিশ কিশোরীরের কথায় সত্যতা যাচাই করছে। কোনও দালাল তাকে সীমান্ত পার করতে সাহায্য করেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও কিশোরীর তরফে জানানো হয়েছে, জলপাইগুড়িতে তাঁর আত্মীয়ের বাড়ি। সেই আত্মীয়ের বাড়িতেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তদন্তকারী এক আধিকারীক বলেন, ‘মেয়েটি দাবি করেছে, জলপাইগুড়ি জেলায় তাঁর আত্মীয় আছে। আমরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। এছাড়া সেই তরুণীকে সীমান্ত পার করতে কে সাহায্য করেছে, তা জানতে তদন্ত চালানো হচ্ছে।’
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের ফতেহপুর আউটপোস্টের পাশ দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে সেই নাবালিকা। তখন বিএসএফের নজরে পড়েন তিনি। জলপাইগুড়িতে থাকা নাবালিকার আত্মীয়ের সংবাদসংস্থাকে বলেন, “সেই নাবালিকা এবং তাঁর পরিবার ইসকনের ভক্ত। বাংলাদেশের মৌলবাদীরা তাঁকে অপহরণ করার হুমকি দিয়েছিল। এছাড়া তাঁর পরিবারকেও খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এরপরই সেই নাবালিকাকে ভারতে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল তাঁর পরিবার। তবে ঠিক কবে তাঁকে পাঠানো হবে, তা আমরা জানতাম না।” কিশোরীর আত্মীয় আরও বলেন, বাংলাদেশে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের কাজ করতেন সেই নাবালিকার বাবা। তবে বিগত বহুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ।