ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে মৃত্যু হয় ২৭ বছরের বাংলাদেশী (Bangladesh) তরুণের। মৃত তরুণের নাম (Bangladesh) লিটন অধিকারী। তিনি বাংলাদেশ থেকে (Bangladesh) হৃদরোগের চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী থানায় লিটনের (Bangladesh) দিদির বাড়ি। সেখান থেকেই তিনি (Bangladesh) কল্যানীতে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। শুক্রবার রাতে হঠাৎ করেই লিটন অসুস্থ হয়ে যায়। (Bangladesh) তাঁকে কালনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। লিটনের দেহ শুক্রবার কালনা হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই তাঁর ময়নাতদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, লিটনের বাড়ি বাংলাদেশের মাদারিপুরে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়ানক হয়ে উঠেছে। সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে। তার সঙ্গে সঙ্গে সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধ বাংলাদেশী শরণার্থীদের ভারতে প্রবেশের সংখ্যা বাড়ছে। অনেক অবৈধ শরণার্থীকে বিএসএফের জওয়ানরা গ্রেফতার করেছেন। একদিন আগেই বাংলাদেশ থেকে বিনা ভিসাতে ভারতে প্রবেশের সময় দুই বৃদ্ধাকে বিএসএফ আটক করেছে। যাঁদের মধ্যে একজনের বয়স ৭২ বছর ও অন্যজনের বয়স ৮০ বছর। অন্যদিকে, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে ২টি পৃথক জায়গা থেকে ২ জনকে আটক করেন বিএসএফ জওয়ানরা। ধৃতদের কালিয়াগঞ্জের থানায় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আদালত তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাতজের নির্দেশ দেয়।
দুদিন আগে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় গ্রেফতার করা হয়েছিল ১৭ বছরের কিশোরীকে। বিএসএফকে কিশোরী জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি প্রতিটি সদস্য ইসকনের ভক্ত। তাই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ওই কিশোরীকে অপহরণের হুমকি দেওয়া হয়। এরপরেই ওই কিশোরী ভারতে পালিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন। বৈধ ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে কতদিনে ভারতে আসতে পারবেন, সেই নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তাই ওই কিশোরী বৈধ কাগজ ছাড়াই ভারতে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই কিশোরী দাবি করেছেন, বাংলার জলপাইগুড়িতে তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে, সেখানেই তিনি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। অন্যদিকে, পুলিশ কিশোরীরের কথায় সত্যতা যাচাই করছে। কোনও দালাল তাকে সীমান্ত পার করতে সাহায্য করেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও কিশোরীর তরফে জানানো হয়েছে, জলপাইগুড়িতে তাঁর আত্মীয়ের বাড়ি। সেই আত্মীয়ের বাড়িতেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তদন্তকারী এক আধিকারীক বলেন, ‘মেয়েটি দাবি করেছে, জলপাইগুড়ি জেলায় তাঁর আত্মীয় আছে। আমরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। এছাড়া সেই তরুণীকে সীমান্ত পার করতে কে সাহায্য করেছে, তা জানতে তদন্ত চালানো হচ্ছে।’