চিন তার ভিসা-মুক্ত ট্রানজিট পলিসি (Chinese Transit Policy) শিথিল করেছে এবং এখন ভ্রমণকারীরা এখানে ১০ দিন সেদেশে থাকতে পারবেন। ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনআইএ) ৫৪টি দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা-মুক্ত প্রবেশের ঘোষণা করেছে। এই দেশগুলির নাগরিকদের ২৪০ ঘন্টা অর্থাৎ ১০ সিনের জন্য দেশে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। আগে এই সীমা ছিল ৭২ঘন্টা অর্থাৎ মাত্র তিন দিনের জন্য। চিন ৫৪টি দেশের তালিকায় পাকিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করেনি। এশিয়ার ৬টি দেশ এই তালিকায় থাকলেও পাকিস্তানের নাম নেই।
চিনের স্টেট কাউন্সিলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ৫৪টি দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই ৫৪টি প্রদেশের ৬০টি খোলা বন্দরের মাধ্যমে প্রবেশ (Chinese Transit Policy) করতে পারবেন এবং এই অঞ্চলে ২৪০ ঘন্টা থাকতে পারবেন। আগে মাত্র ৩৯টি খোলা বন্দরকে চিনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, এখন আরও ২১টি বন্দর যুক্ত করা হয়েছে। ৫৪টি দেশের তালিকায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, রাশিয়া এবং ব্রাজিল, তবে পাকিস্তান ও ভারত বাদ পড়েছে।
চিন তার পরিবেশকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। করোনা মহামারির কারণে বিধিনিষেধ আরোপের পর গত বছর থেকেই সীমান্ত খুলতে শুরু করেছে চিন। নভেম্বরে চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রক ৩৮টি দেশকে ভিসা-মুক্ত নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
চিন এশিয়ার মাত্র ৬টি দেশকে ভিসা-মুক্ত ট্রানজিট নীতিতে (Chinese Transit Policy) অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই দেশগুলির মধ্যে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই এবং কাতার। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এই তালিকায় নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে রয়েছে ব্রাজিল, কানাডা, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা এবং চিলি। ৪০টি ইউরোপীয় দেশের মধ্যে রয়েছে বেলজিয়াম, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, গ্রীস, যুক্তরাজ্য, হাঙ্গেরি, ইতালি, ইউক্রেন এবং রাশিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নীতির (Chinese Transit Policy) সুবিধা নিতে হলে অবশ্যই তিন মাসের বৈধতা সহ একটি আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নথি থাকতে হবে এবং তাদের বলতে হবে যে তারা কোন দেশে যাচ্ছেন এবং কোন উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। ভ্রমণকারীরা তৃতীয় কোনও দেশে যাওয়ার জন্য চিনে ১০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারেন।