নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউদিল্লীঃ করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, ততই বাড়ছে আশঙ্কা। সবাই তাকিয়ে এখন করোনা ভ্যাকসিনের দিকে। কবে পাওয়া যাবে সেই ভ্যাকসিন! একদিকে, রাশিয়া দাবি করেছে বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন তৈরির। অন্যদিকে বিভিন্ন দেশ বিভিন্নভাবে এই ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টায় আছে।
তবে ভারতেই তিনটি ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। তার মধ্যে একটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায় চলছে। সেইসব দেখেই এই বছরের শেষেই ভারতের বাজারে করোনা ভ্যাকসিন চলে আসবে বলে আশাবাদী কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষবর্ধন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, “দেশে তৈরি তিনটি ভ্যাকসিনের মধ্যে একটার ক্লিনিকাল ট্রায়াল তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। আশা করি চলতি বছরের শেষে উৎপাদন শুরু করতে পারবো।” তিনি আরও বলেন, “আট মাসের দীর্ঘ লড়াইয়ে দেশে সুস্থতার হার ৭৫%। মোট ২২ লক্ষ মানুষ এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন। আরও সাত লক্ষ মানুষ খুব দ্রুত আরোগ্য লাভ করবেন।”
দেশের করোনা পরিকাঠামো দিনে দিনে উন্নতি করেছে। কোভিড পরীক্ষার জন্য এখন দেশে দেড় হাজার ল্যাবরেটরি তৈরি হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানান, “আমরা পুণের মাত্র একটা ল্যাবরেটরি দিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। এখন দেশে দেড় হাজার ল্যাবরেটরি। শুক্রবার আমরা দশ লক্ষ মানুষের নমুনা পরীক্ষা করেছি।”
গত কয়েকদিনে সংক্রমণের হারও বাড়ছে। দেশের আনলক পর্বে এই সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তবে সেই সঙ্গে দেশে সুস্থতার হারও বেড়েছে। প্রায় ৭৫ শতাংশ করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়েছেন। কমেছে করোনায় মৃত্যুর হারও। ১.৫ শতাংশে নেমে গেছে এই পরিমাণ। তবে এই সংক্রমণ ঠেকাতে ভ্যাকসিনের কোনো বিকল্প নেই বলেও মানছে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ফলে দ্রুতই সুরাহা মিলবে এই ভয়াবহতা থেকে তাও জানাচ্ছে কেন্দ্র।