আতঙ্কের আরেক নাম হল ডেঙ্গু (Dengue)। কারণ এই রোগের (Dengue) সেভাবে কোনও চিকিৎসা নেই। আবার এই ডেঙ্গুতে (Dengue) মৃত্যুর হার অনেকটা বেশি। ডেঙ্গু (Dengue) প্রতিরোধের কোনও ওষুধ নেই। এই রোগের চিকিৎসা শুধু উপসর্গ ভিত্তিক হয়। এবার সেই ডেঙ্গুর (Dengue) প্রত্যক্ষ চিকিৎসা আসতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। ডেঙ্গুর (Dengue) ওষুধ আনতে চলেছে সিরাম ইনস্টিটিউট। ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি তৈরি করা হয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউটে। এই ওষুধ চার ধরনের ডেঙ্গু ভাইরাসের মোকাবিলা করতে সক্ষম বলে সিরাম ইনস্টিটিউটের তরফে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রথম দুটো পর্যায়ের ট্রায়াল হয়ে গেছে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল এনআরএসে হবে বলে জানা গিয়েছে।
সিরাম নির্মিত ‘ডেঙ্গি–শিল্ড’ নামের এই মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সাফল্য পেয়ে ভবিষ্যতে দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেলে অকালমৃত্যু আটকানো যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দেশের ২০টি ট্রায়াল সেন্টারে ৫–১৪ বছরের শিশু এবং ১৮ বছরের বেশি বয়সি প্রাপ্তবয়স্কদের এই থার্ড ফেজ ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করানো হবে। ডেঙ্গি রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে তাঁদের উপর প্রয়োগ করা হবে এই ডেঙ্গি মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি। প্রথম পর্যায়ে অ্যানিমাল ট্রায়ালের পর দ্বিতীয় পর্যায়ে হিউম্যান ট্রায়ালে এই মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি অস্ট্রেলিয়ায় ৪০ জনের উপর এবং পরে ভারতের ২৫০ জনের উপর প্রয়োগ করা হয়েছিল। তাতে কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি। তাই এবার তৃতীয় ট্রায়াল।
জানা গিয়েছে, নতুন বছরের শুরুর দিকে অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গুর ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল কলকাতাতে হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে সাফল্য এলেই ডেঙ্গু আর আতঙ্কের নাম হবে না। ডেঙ্গু তখন অত্যন্ত সাধারণ একটি রোগের নাম হয়ে যাবে। যার জেরে প্রতি বছর ডেঙ্গুর জেরে যে বহু মানুষের মৃত্যু হয়, তা এড়ানো সম্ভব হবে। রাজ্যে ২০২৪ সালে ডিসেম্বেরর আগে পর্যন্ত ডেঙ্গিতে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু মোকাবিলা করা চিকিৎসকদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।