রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্য ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে (Mamata Banerjee)। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তৃণমূল স্বধিকার ভঙ্গের নোটিশ নিয়ে এসেছে। কংগ্রেসও অমিত শাহের মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সংসদ চত্ত্বরে আম্বেদকরের ছবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী সাংসদরারা। তাঁরা জয় ভীম স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে সুর চড়ালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, ‘যা হয়েছে তাতে আসলে ওদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। আসলে এই মন্তব্য বিজেপির দলিত-বিরোধী ভাবমূর্তিরই প্রতিফলন।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘লক্ষ লক্ষ মানুষ আম্বেদকররে আদর্শের দ্বারা অনুপ্রাণিত। অমিত শাহের এই মন্তব্য তাঁদের সকলের জন্য অপমানজনক। কিন্তু, যে দলের ভিতরে ঘৃণা, ধর্মান্ধতার চাষ তাঁদের কাছে এর থেকে বেশি আর কী আশা করা যায়? আম্বেদকর সংবিধানের জনক। শাহের আপত্তিকর মন্তব্যটি কেবল তাঁর উপরই নয় বরং সংবিধানের খসড়া কমিটির সকল সদস্যের উপর একটি আক্রমণের সামিল।’
রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “এখন এক ফ্যাশন হয়েছে। আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর। এত বার যদি ভগবানের নাম নিতো তাহলে সাত জন্ম স্বর্গবাস হত।’’ যদি বিতর্কের জেরে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর বিবৃতি বিকৃত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি এমন একটা দলকে প্রতিনিধিত্ব করি যারা অম্বেদকরকে অপমান করার কথা কল্পনাও করতে পারে না। বাবাসাহেব আম্বেদকরকে অসম্মান করেছে কংগ্রেস। তাঁকে ভারতরত্ন দেওয়া হয়নি। যেখানে কংগ্রেসের সরকার ছিল সেখানে অম্বেদকারের মূর্তি তৈরি করতে দেওয়া হয়নি।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যও বিকৃত করে এরা বিতর্ক তৈরি চেষ্টা করেছিল। এবার আমার বক্তব্য বিকৃত করা হচ্ছে।” মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের জেরে বিতর্ক শুরু হলেও বুধবার সারা দিন সেই বিতর্ক অব্যাহত থাকে।